অন্য দুনিয়া

ইউ কে চিং বীরবিক্রম আর নেই

বান্দরবান প্রতিনিধি : বীরবিক্রম ইউ কে চিং আর নেই। শুক্রবার ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি দেশের আদিবাসীদের মধ্যে একমাত্র বীর বিক্রম খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

ব্রেইনস্ট্রোক করায় মঙ্গলবার ইউ কে চিংকে বান্দরবান সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয় এবং তিনি শুক্রবার সকালে মারা যান। রোববার দুপুর ৩ টায় বান্দরবান লাংড়িপাড়া শশ্মানঘাটে সমাহিত করা হবে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন। ২৫ মার্চ ইপিআরের নায়েক হিসেবে তিনি রংপুরের হাতিবান্ধা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে রংপুর ৬ নম্বর সেক্টরে মেজর বাশারের নেতৃত্বে ৯ বাংলাদেশি ইপিআর সৈনিককে নিয়ে পাটগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করেন। দেশকে পাক হানাদার মুক্ত করতে বিওপিতে কর্মরত এক বিহারি ও দুই পাঞ্জাবিকে হত্যা করেন তিনি এবং তাদের তাজা রক্ত মুখে তুলে নেন। টানা নয় মাস সম্মুখ যুদ্ধ করে দেশকে শক্রমুক্ত করেন তিনি।বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৬ জন। এর মধ্যে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জন বীরউত্তম, ১৭৫ জন বীরবিক্রম ও ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে সরকার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের আদিবাসীদের মধ্যে একমাত্র ইউকেচিংকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করে সরকার।

ইউকেচিং বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এদিকে ইউ কে চিং এর মৃত্যুতে তিন পার্বত্য জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

রাইজিংবিডি/বান্দরবান/২৫ জুলাই ২০১৪/এস বাসু দাশ/ রণজিৎ