অন্য দুনিয়া

তিন বাঘ শাবক পাচার মামলার চার্জশিট শিগগির

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : অবশেষে তিন বাঘ শাবক পাচার মামলার চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রায় দুবছরেরও বেশি সময় ধরে তথ্য অনুসন্ধানের শেষ পর্যায়ে ডিবি পুলিশ মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলের কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছে। যার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ কতৃক তদন্ত কাজও শেষ হতে চলেছে।উল্লেখ্য,গত ২০১২ সালের ১১ জুন ঢাকাস্থ শ্যামলীর একটি বাসা থেকে র‌্যাব সদস্যরা তিনটি বাঘ শাবক উদ্ধার করে। এ সময় বাঘ শাবক রাখার অভিযোগে আব্দুল কাদেরকে র‌্যাব গ্রেফতার করলেও পাচারকারীরা কৌশলে আত্মগোপনে চলে যায়। এক পর্যায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসে। তবে পাচারকারী চক্রের মুল হোতা বহু অপকর্মের নায়ক প্রধান আসামি আবু ইছাকে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ কৌশলে আটক করতে সমর্থ হয়। সে সময় আবু ইছা পাচার কাহিনী খুলে বলে এবং এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে।

সূত্র মতে মামলার দায়িত্বভার গ্রহণের পর ডিবি পুলিশ গত দুবছর ধরে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। এই চক্রের সদস্য ও নেপথ্য নায়কদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহসেনাসহ বনবিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এই মামলার চার্জশিট না হওয়ায় অসংখ্যা মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু অবশেষে মামলার কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, মামলাটির চার্জশিট দেওয়ার আগে স্থানীয় থানা পুলিশের মাধ্যমে আসামিদের সম্পর্কে কিছু বিষয় তদন্ত করার প্রয়োজন পড়ে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলেই ডিবি আলোচিত এই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে।

আলোচিত ঐ মামলার শেষ অংশের কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পক্ষে শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মুরাদ হোসেন সোরা, কৈখালীসহ ভেটখালী এলাকার বিভিন্ন মানুষের পাশাপাশি আসামিদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন।

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেন জানান, ডিবি পুলিশ চার্জশিট দেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে কিছু বিষয় নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি ঘটনাস্থলে যেয়ে আসামিদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে অনেক কিছুই নুতন তথ্য পেয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি প্রতিবেদন পাঠাবেন উল্লেখ করে বলেন, স্থানীয় থানার প্রতিবেদন হাতে পেলেই ডিবি আলোচিত এই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে।উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৪ মে তারিখে মধু কাটতে যেয়ে সুন্দরবনের হলদেবুনিয়া এলাকা থেকে তিনটি বাঘের শাবক ধরে আনে রমজাননগর ও কৈখালী এলাকার আইয়ুব আলী, রইস উদ্দীন, সামছুর রহমান, ইসমাইল খোকন মোড়ল, রুহুল আমিন ও জহুর আলী। পরবর্তীতে তারা স্থানীয় পাচার চক্রের সদস্য নুরুজ্জামান গাজী ও আবু ইছার মাধ্যমে শাবকগুলোকে বাইরে পাচার করে।

   

রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৭ আগস্ট ২০১৪/এম.শাহীন গোলদার/শামসুল