অন্য দুনিয়া

মৃত্যুর প্রতীক ‘পপি ফুল’

মেসোপটেমিয়ায় অন্তত ৩৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু হয়েছিল পপি ফুলের চাষাবাদ। এই ফুল এখনও ঘুম, শান্তি এবং মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।  আর এই ফুল থেকেই তৈরি হয় আফিম। এই ফুল আমাদের দেশে চাষ করা নিষেধ। 

যদিও লাল পপি সবচেয়ে পরিচিত, প্রজাতিভেদে পপি ফুল সাদা, গোলাপি, লাল, বেগুনি, হলুদ এবং কমলাসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। কিছু প্রজাতির পপির পরাগ গাঢ় নীল বা গাঢ় সবুজ রঙের হয়।

এই ফুলের বীজ  একবার রোপণ করলে প্রতি বছর সামান্য পরিচর্যাতেই এটি আবার জন্মায়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সের যুদ্ধক্ষেত্রে লাল পপি একমাত্র বুনো ফুল হিসেবে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। যে কারণে এই ফুল যুদ্ধ ও আত্মত্যাগের স্মারক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

পপি ফুলের পাপড়িগুলো খুব পাতলা এবং রেশমের মতো অনুভূতি দেয়। ফুলের কলি অবস্থায় পাপড়িগুলো কুঁচকানো থাকে এবং ফোটার সময় প্রসারিত হয়ে থাকে। পপি ফুল মৌমাছিদের কাছে পরাগের একটি দারুণ উৎস।