বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘‘মহাজগৎ জুড়েই রয়েছে ‘বিশৃঙ্খলা’। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে লুকিয়ে আছে জটিল শৃঙ্খলা’’। আর সেই শৃঙ্খলা মেনে একটি বস্তু ভেঙে পড়ে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি বস্তু ভেঙে কয় টুকরো হবে—এর নেপথ্যে রয়েছে একটি সূত্র ও প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়াই এ বার আবিষ্কার করলেন একদল বিজ্ঞানী। যা অনেক পদার্থের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। ভাবা হচ্ছে, তরল পদার্থের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই আবিষ্কার।
একটি বস্তু ভেঙে টুকরো হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ‘ফ্রেজ ট্রানজিশন’ বলা হচ্ছে। ফ্রান্সের আই-মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমানুয়েল ভিলারমো গবেষণাটি করেছেন। ভিলারমো বলছেন, ‘‘একটি বস্তু পড়ে ভেঙে ছড়িয়ে পড়তে চায়। চেষ্টা থাকে, যতটা বেশি সম্ভব ছড়িয়ে পড়া। যাকে বলা যায় ‘ম্যাক্সিমাম র্যান্ডমনেস’।’’
বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, এই সূত্রকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান হবে। যেমন— জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে পার্বত্য অঞ্চলে শিলা ভেঙে পড়ে যায়। আবার ভারী বৃষ্টির কারণেও পাহাড়ের চূড়া থেকে শিলা ভেঙে পড়ে। সেই শিলা ভেঙে কত টুকরো হবে, সেই ঘটনার প্রভাবই বা কতটা হবে তা আগেই বোঝা যাবে। এর ফলে এড়ানো যাবে অনেক প্রাণহানি ও বিপর্যয়।