নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : তিনি কখনো আলোচনাতেই থাকেন না। অর্থ বা ব্যাংক ঋন নিয়ে কোন কেলেঙ্কারির কথাও কখনো শোনা যায়নি। তার ব্যবসা বাণিজ্য নিয়েও কোন নেতিবাচক কথা কেউ কখনো শোনেনি। তিনি চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে তিনি ‘ডিসকো শওকত’ হিসেবে খ্যাত এবং পরিচিত। বাংলাদেশ আয়কর বিভাগ থেকে সদ্য ঘোষিত দেশের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যাক্তির তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন এই ডিসকো শওকত। তিনি ফিনলে প্রপার্টিজ-এর পরিচালক ও অংশীদার। এ ছাড়া তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংক-এরও পরিচালক।২০১৩-১৪ করবর্ষের সম্পদ বিবরণীর ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১০০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন ২৫ জন। আর ৫০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি টাকার নিট সম্পদের মালিকের সংখ্যা ৪৭। অর্থসম্পদের মালিকানা হিসাবে দেশের এক নম্বর শীর্ষ ধনী হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন চট্টগ্রামের ডিসকো শওকত। দায় দেনা বাদ দিয়ে তার মোট নীট সম্পদের পরিমাণ টাকার অংকে ২৭৫ কোটি টাকা। ডিসকো শওকত চট্টগ্রামে তিনি নগদ টাকার কুমির হিসেবে খ্যাত। তার টাকা খরচ করার মানসিকতা আকাশের মতই বিশাল। প্রচার-প্রচারণা থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসেন তিনি। ঘনিষ্ঠজনদের কারণে-অকারণে অথবা কথায় কথায় তিনি আদর করে গালি দিতে পছন্দ করেন, সবাই সেটি উপভোগও করে। তিনি থাকেন চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্সন রোডের পাহাড়ের চূড়ায় সুবিশাল বাংলো বাড়িতে। মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করার এক অসাধারণ মোহনীয় ক্ষমতা শওকত আলীর। তার প্রথম সন্তান মেয়ে জারা লন্ডনে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন। গত বছর মেয়ের বিয়েতে যেসব আয়োজন ছিল তাতে বিয়েটি স্থান করে নিয়েছে চট্টগ্রামের এ যাবৎকালের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে আয়োজন হিসাবে। কলকাতা থেকে আসা বাবুর্চিরা গায়ে হলুদের খাবার রান্না করে ফিরে গেছেন সেদেশে। কলকাতার বাবুর্চিদের রান্না করা খাবারে পানি আর তেল ছাড়া চট্টগ্রামের কোন উপাদানই ব্যবহার করা হয়নি। সবই এসেছে ব্যাংকক ও কলকাতা থেকে। বিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন আলমের বড় ছেলে সাজ্জাদ আরেফিন আলম মুনের সঙ্গে।
রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৩ জানুয়ারি ২০১৫/রেজাউল/শাহ মতিন টিপু