বাবা দিবস _x

পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ বিবাহবিচ্ছেদ

সাদিয়া ইসলাম : মানুষের জীবনে বিয়ে শব্দটা যতটা খুশি নিয়ে আসে, ঠিক ততটাই কষ্টদায়ক এর বিপরীত শব্দ বিচ্ছেদকে ঘিরে। বিয়ে নর-নারীকে এক করে, এ কথা সত্যি। তবে বিচ্ছেদের মাধ্যমে কেবল একটি সম্পর্কের শেষ নয়, বরং বালির বাঁধের মতো তছনছ করে দেয় আরো অনেকগুলো বন্ধনকে।

 

বিচ্ছেদ খুব কম মানুষই কামনা করে তাদের জীবনে। কিন্তু মানুষের জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন বিচ্ছেদ ব্যাপারটা প্রচণ্ড প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। বাধ্য হন ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে অগ্রসর হতে। একটি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে খরচপাতিরও বিষয় থাকে। পৃথিবীতে এমন কিছু বিবাহবিচ্ছেদ রয়েছে যা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে ‘ব্যয়বহুল’ বিয়ে হিসেবে। আজকে এমনই একটি প্রতিবেদন থাকছে আপনাদের জন্য।

 

রোমান ও ইরিনা আব্রামোভিচ

রাশিয়াতে পঞ্চম এবং পৃথিবীর ভেতরে ৫০তম ধনী ব্যক্তি রোমানের রয়েছে নানা ধরনের ব্যবসা। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর এই বিখ্যাত ধনী মানুষটির আছে বিখ্যাত একটি ফুটবল টিমও। নামকরা ফুটবল টিম ‘চেলসি ফুটবল ক্লাবে’র মালিক তিনি। বর্তমানে রোমানের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ১৪.৬ বিলিয়ন। বিবাহিত জীবনে কোনোরকমের সমস্যা ছিল না আগে। তারপরেও হুট করে রোমান ইরিনাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইরিনা মালান্ডিনা বিয়ের আগে থেকেই বেশ ধনী ছিলেন। আর তাই ধরা হয় এই বিচ্ছেদের কারণে রোমানকে ৫ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার খসাতে হবে। কিন্তু ইরিনা নিজেই সরে দাঁড়ান এমন কোন দাবি থেকে।

   

পরে সন্তানদের ভরণপোষণ হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার চান রবিন। ডিভোর্সের বিচারকাজ ২ বছর ধরে চলার পর একটা সময় সমাপ্তিতে আসতেই হয় বিচারককে। ৪২৫ মিলিয়ন ডলারে দফা হয় ব্যাপারটার।

 

ক্রেইগ ও ওয়েন্ডি ম্যাককাউ

১৯৯৪ সালের বিখ্যাত ও সবচেয়ে বড় তারবিহীন ফোনের প্রচলনকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাককাউ সেলুলার-এর প্রতিষ্ঠাতা ক্রেইগ ম্যাককাউ। ১৯৯৫ সালে ব্যক্তিগত মতপার্থক্যে কারণে ওয়েন্ডির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ম্যাককাউ। পুরো ব্যাপারটা অনেক দিন ধরে চলতে থাকে। নানা যুক্তি-তর্ক হতে থাকে। জমতে থাকে কাগজপত্রের পাহাড়।

   

দম্পতিটির ১.৩ বিলিয়ন সম্পত্তির সমান ভাগাভাগি নিয়ে চলতে থাকে বিতর্ক। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদের হয়। এর ফলে ওয়েন্ডি পান ৪৬০ মিলিয়ন ডলার। তবে এ ঘটনার কয়েক বছর পরেই ক্রেইগ এটি এন্ড টি এর কাছে নিজের কোম্পানি বিক্রি করে দেন ১১.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।

 

স্টিভ ওয়েইন ও এলিনে প্যাস্কেল

ক্যাসিনো এ্যাম্পেয়ার ওয়েইন রিসোর্টের সিইও স্টিভ ওয়েইন আর এলিনের বিয়েটা হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৮৬ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। তবে এরপর ১৯৯১ সালে আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

   

দীর্ঘ ১৯ বছর সংসার করার পর তারা বিচ্ছেদ ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাদের ডিভোর্সের আবেদনটি জমা হয় ১৯৯৭ সালে। এর প্রায় দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে তা মিডিয়ার দৃষ্টি গোচর হয়। এই ডিভোর্সের প্রধান কারণ ছিল অ্যালেকের অমিতব্যয়িতা এবং জোকেলিনের ঘন ঘন প্লাস্টিক সার্জারি করানোর বদ অভ্যাস। এই বিচ্ছেদের জন্য খরচ হয় প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার। এই দম্পতির মধ্যে হওয়া চুক্তিতে বলা হয়, বিচ্ছেদ ঘটনার ১৩ বছর পর থেকে অ্যালেক প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেবেন জোকেলিনকে।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ নভেম্বর ২০১৫/রাশেদ/এএন