সাতসতেরো

বৈশাখেই ভাঙছে যমুনা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : বর্ষা মৌসুম আসতে এখনো অনেকটা সময়ই বাকি। কিন্তু বৈশাখ মাসেই ভাঙছে যমুনা। শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জসহ আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভাঙনে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে অনেক পরিবারকে।

 

খোলা আকাশের নিচে কেউ কেউ মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। অনেকে আবার ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নদী ভাঙনে সর্বশান্ত হলেও চেয়ারম্যান-মেম্বার তো দূরে থাক, দায়িত্বশীল কেউ তাদের খোঁজও নিচ্ছে না।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে জাফরগঞ্জ থেকে উত্তর দিকে প্রায় আট কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে শতাধিক পরিবার ঘড়বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে জাফরগঞ্জ, রৌহা, কাটাখালী, বাশাইল, বাজেতালো গ্রামগুলো।

   

জাফরগঞ্জ গ্রামের মালেক মিয়া জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙলেও এ বছর অসময়েই নদী ভাঙছে। অসময়ে নদী ভাঙার কারণে গ্রামবাসীকে আরো বিপদে পড়তে হচ্ছে।

 

জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, কয়েকমাস আগে নদী ভাঙনে তাদের বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি নদী গর্ভে চলে গেছে। পরবর্তীতে ওই স্থান থেকে বিদ্যালয়টি আধা কিলোমিটার দূরে সরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে অবস্থিত টিনের ঘরটিও এখন হুমকির মুখে। অনতিবিলম্বে ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া না হলে বিদ্যালয়টি যেকোনো সময়  নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

 

অসময়ে যমুনার ভাঙন সর্ম্পকে তেওতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, বড় বড় চর পড়ার কারণে নদীর ¯্রােত পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারণেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। সহযোগিতা চেয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস রাইজিংবিডিকে বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে খুব দ্রুত তাদের সহযোগিতা করা হবে। আর যাদের বাড়িঘর করার মত জায়গা নেই তাদের সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

     

রাইজিংবিডি/মানিকগঞ্জ/২০এপ্রিল ২০১৫/আশরাফুল আলম লিটন/রুমি/টিপু