সাতসতেরো

কৃষিপণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ি

মাগুরা প্রতিনিধি : এক সময় ঘোড়াই ছিল প্রাচীন সভ্যতার একমাত্র বাহন। সেই ঘোড়া বাহিত গাড়িই এখন আবার জনপ্রিয় হচ্ছে মাগুরায়। এখানকার গ্রামীণ এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় নির্মিত পরিবেশ বান্ধব ঘোড়ার গাড়ি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ক্রমশ। মাগুরা সদরসহ ৪ উপজেলায় কমপক্ষে সহস্রাধিক ঘোড়ার গাড়ি কৃষিপণ্য বহনে এখন ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

 

পুরাতন কাঠের চাকার বদলে পিকআপের পরিত্যাক্ত চাকা বসিয়ে গ্রামীণ মানুষেরা তৈরি করছেন এই নতুন শ্রেণির ঘোড়ার গাড়ি। ফলে সনাতন ঘোড়ার গাড়ির তুলনায় বর্তমানের এই ঘোড়ার গাড়ির গতি বেড়েছে। শুধু কৃষিপণ্য নয় ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে ইটসহ বিভিন্ন ধরণের রকমারি পণ্য পরিবহণে।

 

কৃষকরা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন চালিত নসিমন, করিমন কিংবা সাধারণ ভ্যানের তুলনায় এই ঘোড়ারগাড়ি সময় ও ভাড়ার দিক দিয়ে বেশ সুবিধাজনক। অন্যান্য যানবাহনে ১৫ থেকে ২০ বস্তা কৃষিপণ্য বহন করতে যেখানে খরচ হয় ১হাজার টাকার উপরে। সেখানে এ ধরণের ঘোড়ার গাড়িতে খরচ হয় ৪ থেকে ৫শ টাকা। যে কারণে পণ্য পরিবহনে তারা এটিকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাছাড়া এটি গ্রামের যে কোন রাস্তাতেই চলাচল করতে পারে বলে পণ্য পরিবহণে তারা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।

 

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য মতে, ঘোড়া ক্রয়সহ একটি ঘোড়ার গাড়ি তৈরিতে সর্বোচ্চ খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যে কারণে সাধারণ পরিবারগুলো খুব সহজেই এটিকে জীবিকার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারছেন। সংসারে আসছে সচ্ছলতা। শালিখার বুনাগাতি এলাকার ঘোড়ার গাড়ির চালক আাতিয়ার রহমান (৫৫), আয়নাল ফকির (৩০) জানান, ঘোড়ার গাড়িয়ে চালিয়ে খরচ বাদে প্রতিদিন তাদের ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয়।

         

রাইজিংবিডি/মাগুরা/২৮ মে ২০১৫/মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন/টিপু