সাতসতেরো

এল বর্ষা চলনবিলে

আবদুল মান্নান পলাশ, চাটমোহর (পাবনা) : ‘বুর্ষাকালডা আমগারে মাছধুরা লাগে। আবার মাছধুরার বাসুন বান্যানে লাগে। ইসুময় আমগারে উভাব থ্যাকেনা। বিলি পানি আলিই, মাছ আ্যাসে। বুর্ষাকালডা আমগারে কাছে আনন্দিরকাল।’ বলছিলেন চাটমোহরের বিলকুড়ালিয়া পাড়ের ধড়ইল গ্রামের মনছের আলী।চলনবিলের সবচেয়ে বড় হাটটি বসে চাটমোহর উপজেলায়। নাম অমৃতাকুন্ড হাট (রেলবাজার)। এই হাটেরই ‘খৈলশুনী হাটায়’ তার সঙ্গে কথা হয় রোববার সকালে ।বর্ষাকাল এলে চলনবিলের নদ-নদী পানিতে ভরে যায়। শুরু হয় মাছধরা উৎসব। চলনবিলের বিস্তীর্ণ জলরাশিতে পেশাদার ও সৌখিন মাছ শিকারিদের মাছধরার ধুম লেগে যায়। ফলে বর্ষায় মাছধরার সরঞ্জাম তৈরি ও বেচাকেনারও হিড়িক লেগে যায়। আর চলনবিল এলাকায় এসব বেচাকেনার বৃহৎ হাটটি বসে চাটমোহর রেলবাজারে, মির্জাপুরে, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈর, তাড়াশের নওগাঁয়ে। চাটমোহর রেলবাজার খৈলশুনীর হাটে কথা হয় নাটেরের গুরুদাসপুর উপজেলার সিধুঁলাই গ্রামের আমানত উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেচাকেনা ভালোই হতিচে। বিলি বর্ষার পানি মাছ লিয়ে চোলে আইচে। তাই বেচাবিক্রি ব্যাড়ে গ্যোচে।’বড়াইগ্রাম উপজেলার চামটা গ্রামের নবীর উদ্দিন একটু আক্ষেপ করে বলেন, ‘হাটের খাজনা আর বাজনা দিতিই আমাগারে লাভের বারোডা যায়। তারপর বাঁশ-সুতলীর যে দাম বাড়িচে তাতি আমাগারে মুজুরিডাতই টান পড়ে যাচ্ছে।’      

রাইজিংবিডি/চাটমোহর/৫ জুলাই ২০১৫/মান্নান পলাশ/টিপু