সাতসতেরো

বৃষ্টি নামলেই মাছ

মোঃ মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : আকাশে মেঘ। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা। তাই জাল নিয়ে প্রস্তুত ফজল মিয়া (৪৫)। কারণ, বৃষ্টি হলেই ধরা পড়ে দেশিয় নানা প্রজাতির মাছ। এ জন্য তিনি হাওরপাড়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকেন। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের স্নানঘাটের বাসিন্দা ফজল এভাবে মাছ ধরছেন দীর্ঘদিন যাবত। কেবল ফজল-ই নন, তার ন্যায় মাছ ধরতে অনেকেই বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকেন। বৃষ্টি এলেই তারাও মাছ ধরতে নেমে পড়েন।

 

আলাপকালে ফজল মিয়া বলেন, ‘মাছ ধরতে নানা কৌশল জানতে হয়। সবাই মাছ ধরতে পারে না। ধৈর্য্যরে ব্যাপার রয়েছে। আমি নিজস্ব কৌশল নিয়ে মাছ শিকার করি। এতে আমি লাভবান।’ তার সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা সাজু মিয়াও বলেন, ‘ফজল চাচার সাথে আমরাও মাছ ধরছি। তবে উনার মতো মাছ ধরা কঠিন। যাই হোক আমরাও আশানুরুপভাবে মাছ ধরতে পারছি।’

 

অবশ্য বর্ষা ছাড়াও সারা বছর জেলার হাওর, নদী, বিল, ডোবা, নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে মলা, পুটি ,বাইম, সাবিলা, শৈল, গজার, মকা, গলদা চিংড়ি, বোয়াল, আইড়, বাউস, খৈ, পাবদা, টাকি, রুই, কাতল, গনিয়াসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে।

 

যদিও এসব জলাশয়ে শখের বসে অনেকেই মাছ ধরছেন। আবার এ মাছ ধরে বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। মৎস্য বিভাগের হিসেবে জেলায় প্রায় ২৪ হাজার জেলে রয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘জলাশয়ের নিয়মনীতি মেনেই জেলেরা মাছ ধরে বিক্রি করছেন। এসব মিঠাপানির মাছ লোকজন ক্রয় করে খেতে পারছেন। আর বিক্রির টাকায় স্বাবলম্বী হচ্ছে জেলেরা।’

 

মৎস্য শিকারী কানু, কাজল, শিপন মিয়াও জানান- বৃষ্টি হলে মাছ বেশি ধরা পড়ে। এজন্য শিকারীরা বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকেন। তারা জানান,  বানিয়াচং বাহুবল নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ নিয়ে গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর। এখানে হাজার হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে।

       

রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/৩০ জুলাই ২০১৫/ মামুন/টিপু