সাতসতেরো

ফিরছে ১৩০০ বছর আগের বনবিড়াল

সাতসতেরো ডেস্ক : প্রায় ১৩০০ বছর আগে ব্রিটেন থেকে বিলুপ্তপ্রায় বনবিড়াল আবার ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছেন সে দেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এ লক্ষ্যে নর্থ আম্বারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চল বেছে নিয়েছেন তারা।

 

বাদামী রঙের ভালুক এবং ধূসর রঙের নেকড়ের পর সবচেয়ে বড় হিংস্র প্রাণী বলে ধরা হয় এই ইউরোশিয়ান বনবিড়ালকে। মধ্যযুগের পর থেকে এটি ব্রিটেন থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরিকল্পনা মোতাবেক এখন নর্থ আম্বারল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কের কিলডার ফরেস্টে কিছু বন বিড়াল ছেড়ে দেওয়া হবে।

 

কিলডার ফরেস্টের পাঁচটি প্রধান অঞ্চল অ্যাবারডেনশায়ার, ক্যামব্রিয়া, কিনটায়ার, পেনিসুলা এবং নরপোকের থেটপোর্ড ফরেস্টে বন বিড়ালগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫-১০টি বনবিড়াল পাঁচ বছরের ছাড়া হবে।

 

কিলডার ফরেস্টের ৭৫ শতাংশ ঘন জঙ্গল। এ ছাড়া এটি ভেড়া চাষ হয় এমন ফার্ম থেকেও দূরে। এর ২৫০ বর্গমাইল অঞ্চলে ৫০টির মতো বনবিড়াল বসবাস করতে পারবে বলে ধারণা।

 

এ ছাড়া এ বনবিড়ালগুলোর জীবনধারণের জন্য প্রতিদিন ২ কেজি মাংসের প্রয়োজন। জঙ্গলের হরিণ মেরেই তাদের আহার জোগাতে পারবে বনবিড়ালগুলো। এতে করে বর্ধিত হরিণের সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে এ জঙ্গলে ১১ হাজার থেকে ২১ হাজার হরিণ রয়েছে। বনবিড়ালগুলো আগামী পাঁচ বছরে ৯৯৮টি মতো হরিণ হত্যা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

এছাড়া এ অঞ্চলে লোক সংখ্যা খুব বেশি নয়। অর্থনৈতিকভাবেও এ অঞ্চল খুব একটা উন্নত নয়। এমন অবস্থায় এর মাধ্যমে এটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, ১৯৪০ সালের দিকে ইউরোপ থেকে ইউরোশিয়ান বনবিড়ালগুলো বিলুপ্ত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে মাত্র ৭০০টির মতো বনবিড়াল বেঁচে আছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুলাই ২০১৬/মারুফ