সাতসতেরো

তৈরি হচ্ছে নতুন টাইটানিক

আহমেদ শরীফ : এক সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ টাইটানিক  নিয়ে ছবি হয়েছে একাধিক। ডি ক্যাপরিও আর কেট উইন্সলেট অভিনীত  টাইটানিক ছবিটি তো অস্কার জয় আর ব্যবসাতেও রেকর্ড গড়েছে।

 

এবার ওই টাইটানিকের রেপ্লিকা মানে একই সাইজের টাইটানিকই তৈরি করছে চীনের সেভেন স্টার এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চীনের সিচুয়ান প্রদেশে কিজিয়াং নদীতে ভাসবে এই টইটানিক। রোমানডিসী সেভেন স্টার ইন্টারন্যাশনাল কালচার ট্যুরিজম রিজোর্টে দর্শণার্থীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই টাইটানিক।

 

ঐতিহাসিক জাহাজটি দেখতে কেমন ছিলো সেটা দর্শকদের দেখানোর পাশাপাশি ওই জাহাজটি কীভাবে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়, সেটিও দেখানো হবে দর্শকদের। হলিউডের নামকরা প্রডাকশন ডিজাইনার ও প্রডিউসার কার্টিস স্নেল এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন।

 

টাইটানিক জাহাজের চেয়েও বেশি কিছু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি আসল টাইটানিকের মতো রেপ্লিকাটি তৈরি করতে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। প্রতিটি রুম ঠিক টাইটানিকের মতো হবে না। তবে নতুন টাইটানিকের উপরিভাগ ও বাইরের সব অংশ একই রকম থাকবে। আর দর্শণার্থীরা জাহাজের বিভিন্ন রুম ঘুরে দেখতে পারবেন। সেসব রুম আসল টাইটানিকের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে।’

 

সেভেন স্টারস কোম্পানির সিইও সু শাওজান জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে নতুন টাইটানিক তৈরির জন্য ১০০ কোটি ইয়েন অর্থাৎ ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় ধরা হয়েছিল। এখন ওই ব্যয় আরো বেড়েছে। তার মতে, চীনের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই চায় এই প্রজেক্টটি হোক। টাইটানিকের সঙ্গে একটি কৃত্রিম সমুদ্র সৈকতও তৈরি হচ্ছে। আরো তৈরি হচ্ছে কিছু ইউরোপিয়ান দুর্গ। এসব কিছু প্রচুর পর্যটক সমাগম ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

১৯৯৭ সালের বিখ্যাত টাইটানিক ছবিটি চীনা তরুণ যুবকদের মনে এখনো স্থায়ী হয়ে আছে। সেই ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল সাউদামপটন থেকে প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে ডুবে যায় ওই সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ টাইটানিক। এতে মারা যায় ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ নভেম্বর ২০১৬/এএস/ইভা