সাতসতেরো

আবর্জনা আমদানি করছে সুইডেন

আহমেদ শরীফ : ঢাকাসহ আমাদের দেশের প্রায় সব জেলার রাস্তায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ উপচে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু সুইডেনে নাকি এখন আবর্জনার খুব সংকট! আবর্জনা না পেয়ে দেশটির রিসাইকেল কোম্পানিগুলো পড়েছে বিপাকে। তাই অন্য দেশ থেকে আবর্জনা আমদানি করতে যাচ্ছে সুইডেন। দেশটির চাহিদার প্রায় ষাট শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় রিসাইকেল করা প্লান্ট থেকে।

 

গত বছর  সুইডিশদের বাড়ি-ঘরে যে আবর্জনা পাওয়া গেছে, সেগুলোর মাত্র ১ শতাংশ সংগ্রহ করতে পেরেছে আবর্জনা যেখানে জমা রাখা হয় সেই প্রাতিষ্ঠানগুলো। এ প্রসঙ্গে সুইডিশ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রিসাইক্লিং এসোসিয়েশনের পরিচালক আনা কারিন গ্রিপওয়াল বলেন, ‘সুইডিশরা পরিবেশের ব্যাপারে অনেক সচেতন। আমরা দীর্ঘদিন জনগণকে বুঝিয়েছি ঘরের আবর্জনা যেন বাইরে না ফেলে।’

 

অনেক আগে থেকেই ব্যাপক রিসাইক্লিং নীতি অবলম্বন করে আসছে সুইডেন। এমনকি প্রাইভেট কোম্পানিগুলোও আবর্জনা রিসাইকেল করে। আর সেই এনার্জি গিয়ে জমা হয় ন্যাশনাল হিটিং নেটওয়ার্কে। দেশটিতে শীতকালে যখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকে তখন ঐ এনার্জি দিয়ে ঘর-বাড়ি গরম রাখার ব্যবস্থা করা হয়। গ্রিপওয়াল বলেছেন, সে কারণেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্য সব দেশ থেকে এখন আবর্জনা আমদানি করছে সুইডেন।

 

ঐ সব দেশে বাইরে আবর্জনা রাখা নিষেধ বলে এ সুযোগটা পাচ্ছে সুইডেন। তবে অচিরেই সেসব দেশেও আবর্জনা রিসাইকেল করতে প্লান্ট তৈরি হবে, এমনটাও মনে করছেন তিনি। এতে আবর্জনা সংগ্রহে সুইডেন আবারো সংকটে পড়বে। তবে দেশটির মিউনিসিপালিটিগুলাতে আবর্জনা সংগ্রহের দারুণ কিছু আগাম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজব, তাই না? আমাদের দেশের আবর্জনা নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত আমরা। আর সুইডেন এখন আবর্জনা খুঁজে পাচ্ছে না। কর্তাব্যক্তিরা দেশের আবর্জনা রপ্তানী করা যায় কি না, এ ব্যাপারে সুইডেনের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে পারেন।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ডিসেম্বর ২০১৬/তারা