সাতসতেরো

পানির ওপর ভাসমান স্কুল

এস এস জামিল : বিস্তৃত জলরাশির মাঝে মাঝে উঁকি দিয়েছে সবুজ ঘাসে আবৃত চর। তারই একটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে টিনে ঘেরা ছোট ছোট তিনটি কক্ষ। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই কক্ষগুলো নির্মাণ করা হয়নি। এটি আসলে একটি স্কুল। এখানে লোখাপড়া করে এলাকার দরিদ্র শিশুরা। কোনো খরচ ছাড়াই এখানে তারা পড়তে পারে। ভারতের মনিপুরী রাজ্যের ফুমিডিস এলাকায় এমন স্কুল দেখা গেছে। পানির ওপর ভাসতে ভাসতে পড়ালেখা করবে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা৷ লোকটাক হ্রদে এমন অসাধারণ নজির গড়েছে মনিপুরবাসী৷ রাজ্যের ফুমিডিস এলাকাটি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এ জন্য কয়েকশ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে৷ তাদের সন্তানদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে স্কুল। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই মৎস্যজীবী৷ তবে বন্যায় সেটা উঠেছে লাটে। ছেলেমেয়েদের পাঠাতে পারছেন না বিদ্যালয়ে৷ এ অবস্থায় ছোট শিশুদের কর্মজীবীর ভূমিকায় নামতে হয়। সাংসারিক গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে কোমল শিশুদের ওপরেও। এদের আলোর পথ দেখিয়েছে দুটি এনজিও। স্থানীয় মৎস্যজীবী ইউনিয়নের চেষ্টায় এ স্কুল দাঁড়িয়ে গেছে। বর্তমানে স্কুল শিক্ষার্থী মাত্র ২৫৷ বয়সের ফারাক থাকলেও সবাই একসঙ্গে ক্লাস করে। আপাতত এ বিদ্যালয়টি প্রাথমিক হলেও দ্রুতই অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এসএন