সাতসতেরো

তাঁরা নোবেলজয়ী নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোবেল পুরস্কার প্রবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও উল্লেখযোগ্য হারে স্বীকৃতি পেয়েছে। পরিসংখ্যান ঘেটে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাও কম নয়। নোবেল পুরস্কার আয়োজক সুইডিশ অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৮২২ পুরুষ, ৪৮ নারী এবং ২৬ সংগঠনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ৪৮ নারীর মধ্যে বেশিরভাগ পুরষ্কার পেয়েছেন ‘শান্তি’  ক্যাটাগরিতে। ১৬ জন নারী নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী হয়েছেন। বাকীদের মধ্যে ১৪ জন সাহিত্যে, ১২ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানে, দুই জন পদার্থ বিজ্ঞানে এবং অর্থনীতিতে একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৯ সালে সবচেয়ে বেশি (৫ জন) নারী নোবেল পুরস্কার পান। নোবেল বিজয়ী নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন সম্পর্কে এখানে আলোকপাত করা হলো। প্রথম নোবেল জয়ী নারী ম্যারি কুরি : ফরাসি এই বিজ্ঞানী ১৯০৩ সালে তেজস্ক্রিয়তার ওপর গবেষণার জন্য তার স্বামী পিয়ের কুরি এবং তেজস্ক্রিতার আবিস্কারক অরি বেকেলের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাদার তেরেসা : ১৯৭০ দশকে সমাজসেবা এবং অনাথদের বন্ধু হিসেবে  মাদার তেরেসা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে। ম্যালকম মাগারিজের বই ও প্রামাণ্য  তথ্যচিত্র সামথিং বিউটিফুল ফরগড প্রচারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ১৯৭৯ সালে ১৭ অক্টোবর তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। শিরিন এবাদি : তিনি ইরানের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী। ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কার পান। জেইন আড্যামস : পুরো নাম লরা জেইন আড্যামস। তিনি প্রথম মহাযুদ্ধের সময় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য নিকলাস মারি বাটলারের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। মিলিগ্রিন বলচ : তিনি মার্কিন শিক্ষাবিদ, লেখিকা। নারীদের স্বাধীনতা ও ডবিউআইএলপিএফ এর সঙ্গে তার কাজের সফলতার জন্য ১৯৪৬ সালে জনমটের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। অং সান সু চি: তিনি সামরিকতন্ত্রের বিপক্ষে অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। মারিয়া গ্যোপর্ট মায়ার: জার্মান বংশোদূত মার্কিন তাও্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৬৩ সালে দ্বিতীয় নারী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ওয়াঙ্গেরী মাথেই, মুতা মেরিজো: নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ওয়াই কিবাকি সরকারের সহকারি মন্ত্রি ছিলেন। তিনি বৃক্ষরোপন পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। আফ্রিকার প্রথম মহিলা যিনি ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। মালালা ইউসুফজাই: শিশু-কিশোর ও তরুণদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শিশুদের জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে সংগ্রাম ও অবদানের  স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মালালা ইউসুফজাই ভারতের শিশু অধিকারবিষয়ক কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নোবেল পুরষ্কার পান। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৭/অবনী/হাসান/সাইফ