সাতসতেরো

বর্ণবাদবিরোধী কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা

রুহুল আমিন : ‘পৃথিবীতে প্রতিশোধ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি যতটা অর্জন করতে পারবেন, তার চেয়ে ঢের বেশী অর্জন করতে পারবেন ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে।’উক্তিটি বর্ণবাদবিরোধী কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। ম্যান্ডেলাকে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্রের জনক বলা হয়। ১৯১৮ সালের আজকের এই দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার থেম্বু রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন ম্যান্ডেলা। জন্মদিনে কিংবদন্তি নেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। ম্যান্ডেলার বাবার নাম মপাকানইসার।মায়ের নাম নোসেকেনি ফ্যানি। মপাকানইসার চার বিয়ে করেন। নোসেকেনি ছিলেন তৃতীয় স্ত্রী। মপাকানইসারের চার স্ত্রীর ১৩ সন্তানের একজন ম্যান্ডেলা।‘ রোলিহ্লাহ্লা’ ম্যান্ডেলার ডাক নাম। যার অর্থ ‘গাছের ডাল ভাঙে যে’ অর্থাৎ দুষ্ট ছেলে। ম্যান্ডেলা পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলে পড়ার সময়ে তার শিক্ষিকা মদিঙ্গানে তার ইংরেজি নাম রাখেন  ‘নেলসন’। দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা তার গোত্রের দেওয়া ‘মাদিবা’ নামে পরিচিত।ম্যান্ডেলার বয়স যখন ৯ বছর, তখন তার বাবা যক্ষ্মা রোগে মারা যান। শাসক জোঙ্গিন্তাবা তখন তার অভিভাবক নিযুক্ত হন।ম্যান্ডেলা রাজপ্রাসাদের কাছের একটি মিশনারী স্কুলে পড়াশোনা করেন। থেম্বু রীতি অনুযায়ী ১৬ বছর বয়সে ম্যান্ডেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার গোত্র বরণ করে নেয়। এরপর তিনি ক্লার্কবারি বোর্ডিং ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করেন।সেখানে ৩ বছরের জায়গায় মাত্র ২ বছরেই জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা পাস করেন তিনি। ১৯৩৭ সালে ম্যান্ডেলা প্রিভি কাউন্সিলে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হন। এরপর তিনি ফোর্ট বোফোর্ট শহরের মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হেল্ডটাউন স্কুলে ভর্তি হন। এখানেই থেম্বু রাজবংশের ছাত্ররা পড়াশোনা করতো।স্কুল থেকে পাস করার পর ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অফ আর্টস কোর্সে ভর্তি হন। এখানেই অলিভার টাম্বোর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। টাম্বো ছিল ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অন্য বন্ধু ট্রান্সকেই এর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী কাইজার (কে ডি) মাটানজিমা। যার হাত ধরে বান্টুস্থানের রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণের সঙ্গে জড়িয়ে যান ম্যান্ডেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে অধ্যয়ন শেষে ম্যান্ডেলা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র সংসদের ডাকা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।এই জন্য তাকে ফোর্ট হেয়ার ছাড়তে বলা হয়। ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার ছাড়ার পর জানতে পারেন, জোঙ্গিন্তাবা তার সন্তান জাস্টিস (যুবরাজ ও সিংহাসনের উত্তরাধিকারী) ও ম্যান্ডেলার বিয়ে ঠিক করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিয়ে করতে রাজি না থাকায় জোহানেসবার্গে চলে যান তিনি। সেখানে একটি খনিতে প্রহরী হিসেবে কাজ নেন ম্যান্ডেলা। বিয়ে এড়াতে জোঙ্গিন্তাবার থেকে পালিয়ে আসার বিষয়টা খনির মালিক কিছুদিন পরেই জেনে যান। এ কারণে তাকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে জোহানেসবার্গের আইনি প্রতিষ্ঠান উইটকিন, সিডেলস্কি অ্যান্ড এডেলম্যানে কেরানি হিসেবে যোগ দেন ম্যান্ডেলা। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময়ে ম্যান্ডেলা ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আফ্রিকার দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের অধীনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অফ উইটওয়াটার্সরান্ডে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু করেন। এ সময় তিনি জোহানেসবার্গের উত্তর দিকের শহর আলেক্সান্ড্রিয়াতে বাস করতেন। ১৯৪৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচনে বর্ণবাদে বিশ্বাসী ও বিভিন্ন জাতিকে আলাদা করার পক্ষপাতি থাকা আফ্রিকানরদের দল ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করে। এ সময় ম্যান্ডেলা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) ১৯৫২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৫ সালে জনগণের সম্মেলনেও তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মূলভিত্তি হিসেবে মুক্তি সনদ প্রণয়ন করেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের প্রথমভাগে তিনি মহাত্মা গান্ধীর দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সরকার ১৯৫৬ সালের ৫ ডিসেম্বর ম্যান্ডেলাসহ ১৫০ জন বর্ণবাদবিরোধী কর্মীকে দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করে। সুদীর্ঘ ৫ বছর ধরে মামলা চলার পর সব আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হয়। ১৯৬১ সালে এএনসির সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন ‘উমখোন্তো উই সিযওয়ে’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন ম্যান্ডেলা। তিনি বর্ণবাদী সরকার ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতী ও চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেন। এতে বর্ণবাদী সরকার পিছু না হটলে প্রয়োজনবোধে গেরিলা যুদ্ধে যাবার জন্যও পরিকল্পনা করেন। ম্যান্ডেলার সহকর্মী উলফি কাদেশ ম্যান্ডেলার নেতৃত্বে শুরু করেন সশস্ত্র আন্দোলন। ম্যান্ডেলা নিজে তার এই সশস্ত্র আন্দোলনকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিতান্তই শেষ চেষ্টা বলে অভিহিত করেন।  ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট ম্যান্ডেলাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জোহানেসবার্গের দুর্গে আটক রাখা হয়। ১৯৬১ সালে শ্রমিক ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেওয়া ও বেআইনিভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৬২ সালের ২৫  অক্টোবর ম্যান্ডেলাকে এই দুই অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ১৯৬৪ সালের ১১ জুন ম্যান্ডেলার বিরুদ্ধে এএনসির সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্বদানের অভিযোগ আনা হয়। ম্যান্ডেলার কারাবাস শুরু হয় রবেন দ্বীপের কারাগারে। এখানে তিনি তার ২৭ বছরের কারাবাসের প্রথম ১৮ বছর কাটান। সশ্রম কারাদণ্ডের অংশ হিসেবে রবেন দ্বীপের কারাগারে ম্যান্ডেলা একটি চুনাপাথরের খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন। কারাগারে থাকার সময়ে ম্যান্ডেলা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পড়াশোনা শুরু করেন এবং আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালের ২০ এপ্রিল প্রিটোরিয়াল সুপ্রিম কোর্টে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ম্যান্ডেলা তার জবানবন্দিতে ব্যাখ্যা করেন কেনো এএনসি সশস্ত্র আন্দোলন বেছে নিয়েছে। ১৯৮০র দশকে এমকে বর্ণবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে। এতে অনেক বেসামরিক লোক হতাহত হন। ম্যান্ডেলা স্বীকার করেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাতে গিয়ে এএনসি অনেক সময় মানবাধিকার লংঘন করেছে। ১৯৮১ সালে তাকে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি প্রিন্সেস অ্যানের কাছে সেই নির্বাচনে হেরে যান। ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে ম্যান্ডেলাকে রবেন দ্বীপের কারাগার থেকে পোলসমুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ম্যান্ডেলাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।শর্তটি ছিল ম্যান্ডেলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশে সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগ করতে হবে। ম্যান্ডেলা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার মেয়ে জিন্দজির মাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। যাতে তিনি বলেন, ‘আমাকে মুক্ত করার জন্য দেওয়া এ কেমনতরো প্রস্তাব, যেখানে জনগণের সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে রাখা হচ্ছে? কেবল মুক্ত মানুষই আলোচনায় বসতে পারে। বন্দিরা কখনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে না।’ ১৯৮৫ সালে ডিসেম্বরে ম্যান্ডেলা ও ন্যাশনাল পার্টি সরকারের মধ্যকার প্রথম আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। কোবি কোয়েটসি ম্যান্ডেলার সঙ্গে কেপটাউনের ভোক্স হাসপাতালে দেখা করেন। ম্যান্ডেলা তখন প্রস্টেট গ্রন্থি ও শল্য চিকিৎসা শেষে আরোগ্য লাভ করছিলেন। পরের চার বছর ধরে ম্যান্ডেলার সঙ্গে সরকার একাধিকবার আলোচনায় বসে। কিন্তু এসব আলোচনায় বিশেষ কিছু অগ্রগতি হয়নি। ১৯৮৮ সালে ম্যান্ডেলাকে ভিক্টর ভার্সটার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত সেখানেই বন্দি ছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি পি ডব্লিউ বোথা হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার স্থলাভিষিক্ত হন ফ্রেডেরিক উইলেম ডি ক্লার্ক। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের পরে ডি ক্লার্ক ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যান্ডেলাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১৯৯০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এফ ডব্লিউ ক্লার্ক এএনসিসহ অন্যান্য বর্ণবাদবিরোধী সংগঠনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুনে নেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, ম্যান্ডেলাকে অচিরেই মুক্তি দেওয়া হবে। ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভিক্টর ভার্সটার কারাগার থেকে ম্যান্ডেলাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারা মুক্তির পর ম্যান্ডেলা এএনসির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত তিনি এই দলের নেতা ছিলেন। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে এএনসির নেতা ক্রিস হানিকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি না থাকা সত্ত্বেও ম্যান্ডেলা রাষ্ট্রপতিসুলভ ভাষণ দেন। ম্যান্ডেলা এ সময় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানান। দেশের কিছু অংশে দাঙ্গা হলেও মোটের ওপর শান্তি বজায় থাকে তার আহ্বানে।  এ সময় তিনি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এই আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার পর ১৯৯৪ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সববর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিকভাবে প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ম্যান্ডেলা। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন ম্যান্ডেলা।২০০৪ সালে জনজীবন থেকে অবসর নেন ম্যান্ডেলা। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য ম্যান্ডেলা ও রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ককে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া ম্যান্ডেলা ২৫০টিরও অধিক পুরস্কার পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ম্যান্ডেলা ৩ বার বিয়ে করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ইভলিন মেসকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা উইনি ম্যান্ডেলার সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি ছিল তার জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্তগুলোর একটি। ৮০তম জন্মদিনে তিনি তৃতীয়বার বিয়ে করেন মোজাম্বিকের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি গ্রাসা মার্শেলকে। তার ছয় সন্তান, ২০ জন নাতি-নাতনি এবং অনেক প্রপৌত্র রয়েছে। থেম্বুর উপজাতীয় নেতা মান্দলা ম্যান্ডেলা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি। ২০১৩ সালের ৮ জুন তিনি ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তী ছয় সপ্তাহ তিনি হাসপাতালেই কাটান। পরে ১ সেপ্টেম্বর ম্যান্ডেলাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৭/রুহুল/শাহ মতিন টিপু