সাতসতেরো

বন্ধুত্বে মাতোয়ারা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ

সরকার আব্দুল্লাহ তুহিন: শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকেই জীবন শুরু হয় নতুন উদ্যমে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন সংস্কৃতির ছেলেমেয়েদের সাথে মিশে, তাদের ভাবনা-ধারণা ও নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজের সমারোহ, লাল শাপলাভর্তি পুকুর, সুবিশাল মাঠ, শহীদ মিনার, অরণ্যসজ্জিত সুউচ্চ ভবন- সব মিলিয়ে অনন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বিদ্রোহের বীণাবাদক কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে এর অবস্থান। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশনসহ নানা ব্যস্ততার পর অথবা এসবের ফাঁকে ক্যাম্পাসে বিরাজ করে দারুণ এক পরিবেশ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হরেক রকম আড্ডা পুরো ক্যাম্পাস প্রাণোচ্ছল করে তোলে। শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে হোটেলে খাওয়া, হাবিব ভাই বা আশিক ভাইয়ের দোকানে চায়ের আড্ডা, বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে চিকনার মোড়ে গিয়ে গরম গরম পিঁয়াজু, পুরি, সমুচা খাওয়া, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই চাঁদের হাটের পানকৌড়ি অথবা বৈতালী রেস্টুরেন্টে কফি পান, রাত একটু গভীর হলে মেডিক্যালের বারান্দায় বা মাঠে বসে গিটার নিয়ে গলা ছেড়ে গান গাওয়া- সব কিছুর মাঝেই রয়েছে ভাতৃত্ব আর বন্ধুত্বের বন্ধন। ক্যাম্পাসটি যেন শিল্প-সাহিত্য, বন্ধুত্ব, আড্ডা ও ভালোবাসায় ঘেরা। গানে গানে মুখরিত এখানকার তারুণ্য। যৌবনের উচ্ছ্বলতায় সিক্ত ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির সীমাবদ্ধতা মানতে নারাজ। বিতর্ক, আড্ডা, খেলাধুলা আর মতের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তির মাতামাতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সর্বদা বিরাজ করে সাংস্কৃতিক আবহ। কেউ আড্ডায় আগ্রহী, কেউ রাজনীতি-সংগঠন করছে, কেউ মেতে আছে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটু কোলাহলমুক্ত ভালোবাসার অন্য ভুবনে- তবে যে যেভাবেই ব্যস্ত থাকুক পড়াশোনা চলছে নিজের মতো করে। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের দিকনির্দেশনা ও দক্ষ নেতৃত্বে  বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গড়ে উঠেছে একটি আদর্শ সাংস্কৃতিক বলয়। এরই ধারাবাহিকতায় সকল জাতীয় উৎসব ও অন্যান্য দিবসসমূহে বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ আগস্ট ২০১৭/তারা