সাতসতেরো

ইছামতির বিল পাখির কলরবে মুখরিত

জেলা প্রতিবেদকমাগুরা, ২৮ নভেম্বর : প্রকৃতিতে শীতের আবহ। চলে এসেছে অতিথি পাখির দল। রং-বেরংয়ের নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখির কিচির-মিচির ডাকে মুখরিত মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটার ইছামতির বিল।

এসব পাখি দিগন্তজোড়া বিলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। তাদের অবিরাম উড়াওড়ি আর পানিতে অবাধ বিচরণ মুগ্ধ করে যে কাউকেই।

ইছামতির বিলের আয়তন ৩৬ হাজার হেক্টর। এ বিল নবগঙ্গা ও মধুমতি নদীর দক্ষিণ পাশে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ও পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী, লাহুড়িয়া নোয়াগ্রাম, জয়পুর ও কালনা পর্যন্ত বিস্তৃত।  

প্রতিবছর উত্তরের শীত প্রধান সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া ও নেপাল থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে।

মাগুরার কয়েকটি এলাকায় এরা ক্ষণস্থায়ী আবাস গড়ে, তার মধ্যে অন্যতম ইছামতির বিল। মূলতঃ অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বরের প্রথম দিকেই এরা এখানে আসে। মার্চের শেষদিকে আবার ফিরে যায় আপন ঠিকানায়।

এবার ইছামতি বিলে যে সব অতিথি পাখি এসেছে, তার মধ্যে সরালি, পচার্ড, ছোট জিরিয়া, মানিক জোড়, ডেঙ্গা, চামচঠুঁটি, খঞ্জনা, নাকতা, পাতারী হাঁস ও বিভিন্ন জাতের বক অন্যতম।

এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, ইছামতির বিল ছিল একসময় পাখির অভয়ারণ্য। শত শত বছর আগ থেকে এই বিলে পাখি আসছে। ইদানিং চাষ বাস, লোকসমাগম, বন্দুকধারী ও চোরা ফাঁদ শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।  

বিলের পাখি জরিপের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় পাখির প্রজাতি ও সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানা যায় না। ইছামতি বিল এলাকার নহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সিদ্দিকী লিটন বলেন, প্রভাবশালীরা বন্দুক দিয়ে বিলে পাখি শিকার করায় পাখির সংখ্যা কমে আসছে।

 

রাইজিংবিডি / আনোয়ার শাহীন  / শামটি