সাতসতেরো

টানটোনে শিশুদের ছবি আঁকার কর্মশালা

ছাইফুল ইসলাম মাছুম : নিজের আঁকা ছবি মেলে ধরে বসে ছিলেন ওরা। কেউ এঁকে ছিলেন ফুলের ছবি, কেউ পাখির ছবি, কেউ ফিগার মডেল সামনে বসিয়ে একেঁ ছিলেন ছবি। এক দুইজন ছাড়া, ওদের কারো বয়স ১৫ এর বেশি নয়। ধানমন্ডিতে টানটোন আর্ট স্কুল আয়োজিত চার দিনব্যাপী (২৯ নভেম্বর-২ ডিসেম্বর) ছবি আঁকার কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন ওরা। কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ভারতীয় শিল্পী সারফুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশি শিল্পী মামুন হোসাইন। চারদিনের কর্মশালা শেষে পঞ্চম দিন ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়, অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক, প্রখ্যাত শিল্পী ধ্রুব এষ, সব্যসাচী হাজরা, কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস। ভারতীয় শিল্পী সারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যেখানে শিল্প শেখার চার বছরের কোর্স আছে, সেখানে চারদিনে শিল্পকলা শেখা কখনো সম্ভব নয়। আমরা শুধু রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছি, বাকিটা ওই পথ ধরে ওরাই হাঁটবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পের প্রতি নারী ও শিশুদের যে আগ্রহ দেখছি, পশ্চিম বাংলায় সেভাবে তা এখনো তৈরি হয়নি।’  

সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘শিল্পচর্চা করলে যে সবাই শিল্পী হয়ে উঠবে তা না। তবে সবাই মানুষ হয়ে উঠবে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ‘শিল্প হচ্ছে সার্বজনীন। সার্বিক মানুষের কল্যানে কাজ করে। এত ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ছবি আকাঁর কর্মশালা হতে পারে আগে ভাবিনি। তবে উদ্যোগটি অসাধারণ হয়েছে। ছোটদের ছবি দেখে আমি শৈশবে ফিরে গেছি, ছোটবেলায় আমিও ছবি আকঁতাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে শিশুদের জন্য কাজ করা উচিৎ, তাহলে সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে।’ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সোহা বলেন, ‘কর্মশালায় অংশ নিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ এখানে অনেক অজানা বিষয় শিখতে পেরেছি।’ টানটোন স্কুলের চারদিনের কর্মশালার প্রথম দিন ছিল ড্রয়িংয়ের বেসিক নিয়ে আলোচনা, দ্বিতীয় দিন ছিল আউটডোরে ধানমন্ডি লেকে হাতে কলমে শেখা, তৃতীয় দিন ছিল ফিগার মডেল রেখে ছবি আঁকা। কর্মশালার চতুর্থ দিন ছিল পোর্টেট স্টাডি। কর্মশালায় সহযোগিতায় ছিলেন টানটোন স্কুলের পরিচালক নারগিস আক্তার পুনম ও শিল্পী রাশেদুল ইসলাম।  

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ