সাতসতেরো

হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়মাবলী

করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনের কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কোনো ব্যক্তির কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ থাকলে তা অমান্য করা এবং তথ্য গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর আওতায় কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো—

• বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে।

• আলো বাতাসের সুব্যবস্থা সম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকতে হবে। অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। তা সম্ভব না হলে, অন্যদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফুট) দুরে থাকতে হবে (ঘুমানোর জন্য পৃথক বিছানা ব্যবহার করতে হবে)।

• যদি সম্ভব হয় তাহলে আলাদা গোসলখানা এবং টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব না হলে, অন্যদের সাথে ব্যবহার করতে হয় এমন স্থানের সংখ্যা কমানো ও ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

• বুকের দুধ খাওয়ান এমন মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং ভালভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

• সাথে কোনো পশু/পাখি রাখা যাবে না।

• বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের সাথে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে ১ মিটারের মধ্যে আসার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

• অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনে বাড়ী থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

• মাস্ক পরে থাকাকালীন এটি হাত দিয়ে ধরা যাবে না।

• মাস্ক ব্যবহারের সময় প্রদাহের (সর্দি, থুতু, কাশি, বমি ইত্যাদি) সংস্পর্শে আসলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে খেলতে হবে। পরে নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

• সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে (বিশেষ করে যদি হাত দেখতে নোংরা লাগে) প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

• অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না।

• সাবান-পানি ব্যবহারের পর টিস্যু দিয়ে হাত শুকনো রাখতে হবে। টিস্যু না থাকলে শুধু হাত মোছার জন্য নির্দিষ্ট তোয়ালে/ গামছা ব্যবহার করতে হবে, ভিজে গেলে বদলে ফেলতে হবে।

• মুখ ঢেকে হাঁচি কাশি দিতে হবে। হাঁচি কাশির সময় টিস্যু পেপার/ মেডিক্যাল মাস্ক/ কাপড়ের মাস্ক/ বাহুর ভাঁজে মুখ ও নাক রাখতে হবে। পরে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

• মাস্ক ও টিস্যু পেপার ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে। পরে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

• ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না।

• খাওয়ার বাসনপত্র- থালা, গ্লাস, কাপ, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না।

• সকল জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। চিকিৎসকের সিদ্ধান্তমতে একজন হতে অন্যজনের কোয়ারেন্টিন-এর সময়সীমা আলাদা হতে পারে। তবে, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ সময়সীমা ১৪ দিন।

তথ্যসূত্রঃ আইইডিসিআর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা/জেনিস