রেজাউল করিমচট্টগ্রাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি : আজ ফাগুনের প্রথম দিন, কাল ভ্যালেন্টাইন ডে। তারুণ্যের মতে এদিন শুধুই ভালোবাসার দিন। এই দিনে ভালোবাসাবাসীতে সয়লাব হবে রাস্তঘাট, পার্ক, ক্যাম্পাস, নদী, সাগরতীর, গাছের ছায়া, সবুজ প্রকৃতি।
রাজধানী ঢাকা কিংবা দেশের অন্যান্য শহরের মতোই কাল ভালোবাসাবাসীতে মুখরিত হবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। শহরের যান্ত্রিকতার মানুষের আবেগে নাড়া দেয় কমই। তবু ১৪ ফেব্রুয়ারি-এই একটি দিন শুধুই ভালোবাসাবাসীর। আজ বসন্ত দিনেও থেমে থাকবে না ভালোবাসার চলমান স্রোতধারা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ঘেরা চট্টগ্রাম যেনো ভালোবাসার অনন্য নিসর্গ।ফাগুনের বিকেল থেকে এবং কাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে সাগর আর সবুজ প্রকৃতি ঘেরা বন্দরনগরীর কমপক্ষে ১০টি স্পটে দিনভর জমবে ভালোবাসার মুখর সময়। স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা। বন্ধু-বান্ধবী।
হাতে হাত, চোখে চোখ-কিন্নর শব্দ। শুধুই ভালোবাসার বিনিময়। চট্টগ্রাম মহানগরীর যেসব এলাকায় ভ্যালেন্টাই ডে’র ভালোবাসাবাসী উৎসবে মুখরিত হবে-সেই স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল একাডেমি সংলগ্ন কর্ণফুলীর তীর, শান্ত শীতল জল আর সবুজ প্রকৃতি ঘেরা ফয়েজ লেক, ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব সংলগ্ন সবুজ শান্ত প্রকৃতি, চান্দগাঁও স্বাধীনতা পার্ক, কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক, শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারী এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক, হালিশহর বেড়ীবাঁধ টোল রোড, মিরেশ্বরাই মহামায়া লেক, আনোয়ারা পারকি সৈকত, সীতাকুন্ড ইকো পার্ক।বন্দরনগরীর সাগর সৈকত, নদী তীর আর সবুজ প্রকৃতির মধ্যে ভালোবাসার ভাব বিনিময়ে একাকার হবেন একে অপরের ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে। প্রয়োজনীয় আর অপ্রয়োজনীয় মিলে বলবেন মনের নানা কথা, সারা দিন অনেক ঘুরবেন একে অপরের হাতে হাত রেখে, দারুণ মজা আনন্দে মুগ্ধ হবেন দুপুর বা বিকেলের সময়টায়, ইট-কাঠ-পাথরে গড়া যান্ত্রিক-কৃত্রিম নগরীতে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সবাই।
তবু এই দিনটিতে সবাই ব্যস্ত হতে চায় ভালোবাসায়। প্রিয়ার কমনীয় সঙ্গদানে নিশ্চিতই এই দিনে শোভিত হবে লতানো শাড়ি; বাহারি ডিজাইনের রঙিন পাঞ্জাবি। প্রিয়ের দক্ষিণ বাহুকে প্রিয়া তার কোমল-উত্তর হস্তে ধারণ করে ঘুরে বেড়ানো হবে চট্টগ্রামের ভালোবাসাবাসীর স্পটগুলোতে। পরম আদরে বাঁধা চুলের বেণি দুলুনি দেবে এ-কাঁধ থেকে ও-কাঁধে। চট্টগ্রাম মহানগরীর সাগর নদী কিংবা প্রাকৃতিক স্পটগুলো ছাড়াও ভালোবাসা দিবসের বিশেষ আয়োজন রেখেছে নগরীর বেশ কিছু ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম পাড়ার রোদেলা বিকেল, লালখান বাজারের ব্রোস্ট ক্যাফে. কেএফসি, ডিসিহিল সংলগ্ন স্বপ্নিল. পতেঙ্গা বোট ক্লাব, জিইসি মোড়ের হোটেল পেনিনসুলা, আগ্রাবাদের হোটেল আগ্রাবাদ। ভালোবাসার দিনে যারা খেতে ভালোবাসের তারা যাবেন নগরীর এসব ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টগুলোতে।নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে যদি নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান হাতে হাত রেখে তারা চলে যেতে পারেন চট্টগ্রাম শহর থেকে এক ঘণ্টার ড্রাইভিং দুরত্ব কাপ্তাইয়ের সবুজ প্রকৃতির মাঝে। নৌ ভ্রমণ করতে পারেন শান্ত শীতল জলের কাপ্তাই লেকে। কাপ্তাই যদি দূর মনে হয় যেতে পারেন নগরীর মধ্যেই ফয়েজ লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। সীতাকু- ইকো পার্ক অথবা মিরেশ্বরাইয়ের মহামায়া লেকের ধারে। নগরীর মধ্যেই মনের মানুষটিকে পাশে বসিয়ে যারা নিরিবিলি শান্ত সড়কে লং ড্রাইভে যেতে চায় তাদের জন্য উত্তম হালিশহর বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন টোল রোড। এই সড়কের এক পাশে সমুদ্র, দুই পাশ ঘেরা সবুজ প্রকৃতি। হারিয়ে যাবেন অন্য এক সুখরাজ্যে।
রাইজিংবিডি / রণজিৎ