সাতসতেরো

কচ্ছপরা ভালো নেই

সাগরে কালো তেল নিঃস্বরণের ফলে কক্সবাজার উপকূলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক তীরে ভেসে আসছে মৃত কচ্ছপ ও ডলফিন। গত ৩ দিন ধরে সমুদ্রের জোয়ারের সঙ্গে এসব উপকূলে ভেসে আসছে। খবরটি ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে রাইজিংবিডির পোর্টালে। 

বিশ্ব কচ্ছপ দিবস আজ। আমেরিকান টার্টোজ রেসকিউ নামে একটি সংগঠন কর্তৃক ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব কচ্ছপ দিবসের উদ্দেশ্য কচ্ছপের প্রতি সচেতনতা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি এবং তাদের জীবিত থাকার জন্য মানবিক পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা। সে থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। 

২০২২ সালের ৩ এপ্রিল পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে ২৫ কেজি ওজনের একটি মৃত মা কচ্ছপ। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কচ্ছপটি মাটি চাপা দেন। ধারণা করা হয় ডিম ছাড়তে এসে জেলেদের জালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কচ্ছপটি মারা যেতে পারে।  রাইজিংবিডির পোর্টালে প্রকাশিত রিপোর্টটিতে বলা হয়, চলতি বছর কুয়াকাটা সৈকতে মোট ৫ টি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে। 

২০২২ সালের ২১ মে রাইজিংবিডির পোর্টালে প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়, পটুয়াখালী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে একটি জীবিত মা কচ্ছপ। সৈকতের চর গঙ্গামতি পয়েন্টে কচ্ছপটি জালে পেচানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা ব্লুগার্ড সদস্যদের খবর দেয়। ব্লুগার্ড সদস্যরা জানান, কচ্ছপটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে এটি ডিম পাড়তে তীরের দিকে চলে এসেছে। পরে জালে আটকা পড়েছে। এটির ওজন ৩৫ থেকে ৪০ কেজি। কচ্ছপটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।

এসব খবরে এটিই প্রতীয়মান যে, সমুদ্রের কচ্ছপরা ভাল নেই। আবার কচ্ছপ পাচারের দুঃসংবাদ মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনাম হচ্ছে। একদিকে পাচার, অন্যদিকে আরেকটি উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, প্লাস্টিক ব্যাগের কারণে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ সামুদ্রিক প্রাণি মারা যায়। আর এই সামুদ্রিক প্রাণির মধ্যে রয়েছে কচ্ছপও। এইসব প্রাণির বেশিরভাগই খাবার হিসেবে প্লাস্টিক ভক্ষণ করে, যা পরবর্তীতে তাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। 

পানি এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই কচ্ছপের বসবাস। কচ্ছপ সাধারণত ঠান্ডা-রক্তের প্রাণি। শরীরের উপরিভাগ শক্ত খোলসে আবৃত। বর্তমানে পৃথিবীতে কচ্ছপের প্রায় ৩০০ প্রজাতি রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি মারাত্মক ভাবে বিলুপ্তির পথে রয়েছে।