সাতসতেরো

চলচ্চিত্রের মহানায়কের ৯৭তম জন্মদিন

তিনি বাংলা সিনেমার আইকন। তার ভুবন ভোলানো হাসি আজো মনে করেন সিনেমার দর্শক।  আজো কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তিনি।  মহানায়ক উত্তম কুমারের ৯৭তম জন্মদিন আজ।  

কিংবদন্তি নায়কের জন্ম ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা নায়কের আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়।  

সংসারের হাল ধরতে শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরি শুরু করেন উত্তম কুমার।  সেখানে থেকেই মঞ্চে অভিনয়।  এরপর অনেক পরিশ্রম করে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পান সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের এই সন্তান।

প্রথম ছবি হিসেবে ‘দৃষ্টিদান’।  এরপর ‘মায়াডোর’ ও ‘বসু পরিবার’।  ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবি দিয়ে ঝড় তোলেন উত্তম। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ বাংলা চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়। শুরু হয় উত্তম যুগ।  পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ আর ‘সাগরিকা’-এর মতো কালজয়ী সব ছবি করে হয়ে ওঠেন সবার মনের মহানায়ক। সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ উত্তম কুমারের আরো দু'টি সেরা চলচ্চিত্র।  উত্তম কুমারকে ভেবেই ‘নায়ক’ ছবি করার কথা ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। 

বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন উত্তম কুমার।  এর মধ্যে রয়েছে ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’।  

বিয়ে করেন গৌরী দেবীকে।  ১৯৬৩ সালে উত্তম কুমার তার পরিবার ছেড়ে চলে যান।  মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি তৎকালীন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে বসবাস করেন।  ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই কলকাতার টালিগঞ্জে মৃত্যুবরণ করেন।  প্রয়াত হয়েও এখনো তিনি বাংলার মানুষের মনে মহানায়ক হয়েই আছেন।