সাতসতেরো

হেরা গুহা থেকে জাবালে রহমত

আল্লাহর অশেষ রহমতে ২০২৩ সালে হজে গিয়েছিলাম। এর মাধ্যমে ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্ববহনকারী অনেক স্থান পরিদর্শনের সুযোগ হয়। সৌদিতে তখন তাপমাত্রা প্রায় ৪৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে জীবন ওষ্ঠাগত প্রায়। তবুও প্রাণে প্রশান্তি। একে একে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেখা হলো। যেমন, হেরা গুহা, জাবালে রহমত, মিনা এবং শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভ। চলুন জায়গাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।

১. হেরা গুহা: মক্কা শরিফ থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এই পাহাড়ের নাম জাবালে নূর। এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত হেরা গুহা। এই গুহা ‘গারে হেরা’ নামেও পরিচিত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের আগে এই গুহায় ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। এখানেই সর্বপ্রথম ওহি নাজিল হয়েছিলো। সমতল থেকে এই চূড়ার উচ্চতা ৫৬৫ মিটার।

২. জাবালে রহমত: এই স্থানটি ‘রহমত পাহাড়’ হিসেবেও পরিচিত। ইসলামের প্রথম নবী হযরত আদম (আ.) এবং বিবি হাওয়ার মিলনস্থল। আবার এখানে দাঁড়িয়েই ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। পাথরের গায়ে গায়ে পা দিয়ে এই চূড়ায় ওঠা যায়। বড় বড় পাথরগুলোর গায়ে অনেকে অনেক কিছু লিখে রেখে যায়। পাথরের গায়ে সেগুলো রয়ে যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়েও যায়।

৩. মিনা: আল্লাহর আদেশপ্রাপ্ত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.) কে মক্কার উপত্যকা মিনায় `স্তম্ভ চিহ্নিত’ এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন কুরবানি করার জন্য।

৪. জামারাহ: এখানে শয়তানের প্রতীক হিসেবে স্তম্ভ রয়েছে। যেখানে হাজিরা কংকর নিক্ষেপ করেন। 

(চলবে)