সাতসতেরো

২০ মিনিট ঘুমানোর ঘর ‘ন্যাপ ক্যাফে’

কর্মস্থানে ‘ওয়েলনেস টেন্ড’ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ন্যাপ ক্যাফে। এ হলো একটি একটি ক্যাফে সেখানে অফিসের কর্মীরা ২০ মিনিট ঘুমানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন। মাত্র বিশ মিনিটের ঘর একজন কর্মীকে ক্লান্তি কাটিয়ে সতেজ হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। এতে কর্মশক্তি ও কর্মউদ্দীপনা দুই’ই বাড়ে। 

কী থাকে ন্যাপ ক্যাফেতে প্রতিটি ক্যাফেতে রয়েছে প্রাইভেট পড বা রিক্লাইনিং চেয়ার। নরম কম্বল, মৃদু সুরের গান শোনার ব্যবস্থা, আর ঘরটি সাজানো থাকে মৃদু আলোয়। একটি পারফেক্ট পাওয়ার ন্যাপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ক্যাফেগুলো সাজানো হয়।

কর্মীরা যেভাবে সেবা নিয়ে থাকেন কর্মীরা অ্যাপের মাধ্যমে একটি স্লট বুক করতে পারেন, যেখানে তারা ন্যাপের সময়কাল, অ্যারোমাথেরাপির সুগন্ধি বা এমনকি মৃদু Wake-Up Sound-ও নির্বাচন করতে পারেন। স্টাফরা দ্রুত শিথিল করতে ভিজিটরদের আই মাস্ক, ইয়ারপ্লাগ এবং ভেষজ চা প্রদান করে। তাদের লক্ষ্য হলো ঘুমকে কার্যকর, স্বাস্থ্যকর এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। কাজের সময় ঘুমের ভাব এলে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতিতে অলসতা হিসেবে দেখা হতো। বর্তমানে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অফিস কর্মীরা মাত্র একটি ছোট বিশ্রামের পরে নিজেদের কর্মশক্তি ফিরে পান। কাজে মনোযোগ বাড়াতে পারেন। ফলে এই সংস্কৃতি কোম্পানি ও কর্মী উভয়ের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাধারণত লাঞ্চ ব্রেকের সময় ন্যাপ ক্যাফে ব্যবহার করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।