সাতসতেরো

মাশরুম বাজাতে পারে কিবোর্ড

‘গাছেরও প্রাণ আছে’  এই সত্য অনেক-অনেক বছর আগেই  প্রমাণ করে গেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘‘পিপাসা পেলে গাছেরাও চিৎকার করে।’’ এবার ম্যানচেস্টার-ভিত্তিক একটি ব্যান্ডদল গাছপালা ও ছত্রাক সম্পর্কে মানুষের প্রচলিত ধারণাকে আরও ভেঙে দেওয়ার মতো একটি কাজ করে ফেলেছেন। তারা মাশরুম দিয়ে মিউজিক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ইংল্যান্ডের দুইজন সঙ্গীতশিল্পী জন রস এবং অ্যান্ডি কিড এই কাজটি করে দেখিয়েছেন।

সম্প্রতি উত্তর ইংল্যান্ডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদেরকে একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক তৈরি করতে দেখা গেছে। যেখানে ড্রাম আর কিবোর্ড বাজিয়েছেন ‘বায়োনিক অ্যান্ড দ্য ওয়্যারস’-এর দুইজন সদস্য। তাদের পাশাপাশি কিবোর্ড বাজিয়েছে ছত্রাক আর উদ্ভিদ।

যেভাবে সম্ভব হলো ইলেকট্রিক্যাল বা বৈদ্যুতিক সেন্সর ব্যবহার করে এই কাজটি করেচেন রস অ্যান্ড অ্যান্ডি কিড। এক্ষেত্রে মাশরুম ও উদ্ভিদে ইলেকট্রিক্যাল সেন্সর যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের জৈবিক শক্তিতে কাজে লাগিয়ে বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে সুর উৎপন্ন করেছেন তারা।

২০২৩ সাল থেকেই মাশরুম ও উদ্ভিদে ইলেকট্রিক্যাল সেন্সর যুক্ত করে মিউজিক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছেন এই দুই শিল্পী। 

এ প্রসঙ্গে জন রস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমরা উদ্ভিদগুলো এমন কিছু যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করি যা তাদের অভ্যন্তরীণ জৈব-বৈদ্যুতিক সংকেত পরিমাপ করে থাকে। এরপর সেই সংকেতগুলোকে মিডি নামক একটি সঙ্গীত-বিষয়ক ভাষায় রূপান্তর করা হয়।’’

মাশরুম ও উদ্ভিদ ব্যবহার করে সঙ্গীতের তালে বৈচিত্র্য নিয়ে এনেছেন তারা।  এবং প্রমাণ করেছেন উদ্ভিদ, ছত্রাক, মাশরুম- এরা যে নিছকই কোনো নিষ্ক্রিয় সত্তা নয়। জন রসও মনে করেন- ‘‘এটি এক ধরণের আবেগময় অভিজ্ঞতাও বটে।’’

বায়োনিক অ্যান্ড দ্য ওয়্যারসের ইউটিউব চ্যানেলে ১৬টি ভিডিও রয়েছে যেখানে একটি উদ্ভিদ বা মাশরুম একটি বাদ্যযন্ত্র বাজায়। ‘মাশরুম প্লেয়িং কীবোর্ড’ তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও, তারপরে ‘মাশরুম প্লেয়িং অ্যা হ্যান্ডপ্যান’।