বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টানরা ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন বা ক্রিসমাস হিসেবে পালন করে থাকেন। যদিও যিশুর প্রকৃত জন্মদিন বাইবেলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই তবে যিশুর জন্মস্থান যে বেথেলহেমে—এ নিয়ে সমাচারগুলোতে মতবিরোধ নেই।
বিবিসির তথ্য, ‘‘খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনেই বেথলেহেম নগরীতে অলৌকিকভাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যিশু খ্রিস্ট পৃথিবীতে এসেছিলেন সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে আর মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। তার এই আগমনকে স্মরণ করে ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টানরা শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী তাকে স্মরণ করেন ও জাকজমকপূর্ণভাবে দিনটি উদযাপন করে।’’
রোমান ক্যাথলিক চার্চ ৩৫০ খ্রিস্টাব্দে ২৫ শে ডিসেম্বরকে যিশুর জন্মদিন হিসেবে নির্ধারণ করে। খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পালন করে থাকেন।
যিশুর জন্মস্থান বেথেলহেম শুধু একটি শহর নয়, এটি ধর্মীয় বিশ্বাস, ইতিহাস এবং সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ মিলনস্থল। এটি জেরুজালেম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
বাইবেলের ম্যাথিউর সুসমাচার অনুযায়ী, ‘‘যিশু খ্রিস্টের জন্মের সময় আকাশে এক বিশেষ তারা দেখা যায়। সেই তারাটির পথ অনুসরণ করেই পূর্বদেশের জ্ঞানীরা (তিন জ্ঞানী) বেথেলহেমে পৌঁছে শিশু যিশুকে দেখতে পান।’’
খ্রিস্টান ধর্মমতে, এটি ঈশ্বরের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি miraculous sign যা যিশুর জন্ম নির্দেশ করে। তবে এই ঘটনার ঐতিহাসিকতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে; কেউ এটিকে ধর্মীয় বিশ্বাস হিসেবে দেখেন, আবার কেউ এটিকে রূপক বা প্রাকৃতিক ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে বিবেচনা করেন।