স্বাস্থ্য

টিকার আওতায় ৮৬.৫ শতাংশ শিশু

নিজস্ব প্র‌তি‌বেদক : সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৩ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ৮৬.৫ শতাংশ সব ধরনের টিকার আওতায় এসেছে। সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন-সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন’ এর দুই দিনব্যাপী এশিয়া রিজিওনাল সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় বাংলাদেশে টিকাদান সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অনেক নতুন ভ্যাকসিনের সরকারি অনুমোদন না পাওয়া, ভ্যাকসিনের দুষ্প্রাপ্যতা, হাওর, চরাঞ্চল ও বসতি এলাকায় টিকাদান কর্মসূচির জোরালো উদ্যোগ না থাকা, টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ না থাকা। টিকাদান সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলি যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তা মেকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় বাংলাদেশসহ ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলঙ্কা এই আটটি দেশের ৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। ব্র্যাকের আয়োজনে এর পৃষ্ঠপোষক ছিল গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের পরিচালক এবং মা, নবজাতক শিশু ও কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সরকারের একার পক্ষে টিকাদানের মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি অনেক সময় এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন যদি এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে তাহলে এই কার্যক্রম আরো জোরালো ও ফলপ্রসূ হবে।’ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদের  সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন-সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের সভাপতি ডা. ডরোথি ইসাংবেডো, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (এঅঠও), দি অ্যালায়েন্স এর উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুরাধা গুপ্ত, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক ডা. কাওসার আফসানা প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফুল