স্বাস্থ্য

সচেতনতার অভাবে তরুণদের মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মূলত সামাজিক সচেতনতার অভাবে তরুণদের মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য সর্বস্তরে জনসচেতনতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আলোচকরা। মঙ্গলবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর লালমাটিয়ায় সিডিএসবি মিলনায়তনে ‘মানসিক স্বাস্থ্য ও তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। সামাজিক সংগঠন ‘স্বপ্নপূরী কল্যাণ সংস্থা’ এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটি প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ হাসান। আলোচনায় অংশ নেন মিডিয়া মিক্স কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান আশরাফী রিক্তা, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ, থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক জিনিয়া ফেরদৌস রুনা, ইয়াং জার্নালিস্ট ফোরামের অফিস সম্পাদক মানজুর হোছাইন, দ্য অ্যাকটিভ সার্ভিসেসের সিইও মুহাম্মদ তুহিন ভূইয়া, ফিউচার ফোর্স বাংলাদেশের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ নাঈম, ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের যোগাযোগ সম্পাদক সাঈদা আফরিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলামসহ অনেকে। সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ হাসান বলেন, সুস্থ জাতি গঠনে অবিলম্বে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন এবং এর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ, হত্যা, আত্মহত্যা, বিষণ্নতাসহ সকল সামাজিক অপকর্মের কারণ হলো মানসিক অসুস্থতা। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোর্স চালু করতে হবে। সঠিক শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তন ঘটানো দরকার। অনুষ্ঠানে কাজী মুস্তাফিজ বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারের সহজলভ্যতা এবং এই ব্যবহারের গতিবিধি নির্ধারণের যথাযথ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যে কেউ ইন্টারনেটের বিশাল জগতে যেখানে ইচ্ছে সেখানে বিচরণ করতে পারে। যে বয়সে তরুণ বা শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটে, সেই বয়সে তাদের অনেকেই যেমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিত্যনতুন বিষয় জানতে ও শিখতে পারছে, একইভাবে হয়তো ভুলবশত কিংবা কৌতূহলবশত নিজের অজান্তেই পরিচিত হয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতের সঙ্গে, যা তাদের মানসিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে বিকৃত মানসিকতা। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি। আলোচনা সভার আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া মিক্স কমিউনিকেশন্স, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন ও ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ অক্টোবর ২০১৭/হাসান/সাইফ