স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান সিটি মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারের অনুমোদনকৃত যেকোনো মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশন করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। বুধবার সকালে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড় হতে থাকে। এরপরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিলে তারা প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানায়, অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিটি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করে। ভর্তির পরে জানা যায় এ কলেজের নিজস্ব কোনো ভবন, জমি ও ক্যাম্পাস নেই, এমনকি মন্ত্রণালয়ের কোনো নীতিমালাই এরা মানছে না। এসব কারণে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের ওপর শিক্ষার্থী ভর্তির নিষেধাজ্ঞা ছিল। কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যার সমাধানের জন্য গেলে তারা তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সময়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে তাদের ভবিষ্যৎ। এ অবস্থার উত্তোরণে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা জানান, অবিলম্বে একটি অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দিয়ে তাদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষার্থীরা জানান, ভর্তি ফি ছাড়া প্রতি সেশনে ৮০ হাজার টাকা এবং প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা করে দিয়ে যাচ্ছেন। আর অন্যান্য ফি তো রয়েছেই। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি আর অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যায়ে এসে এখন চরম অনিশ্চিয়তায় পড়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নীতিমালা মেনে না চলার কারণে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম এবং বিএমডিসির অনুমোদন স্থগিত করা হয় এবং সব শর্ত পূরণ করার জন্য এক বছর সময় দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যেও কলেজ কর্তৃপক্ষ শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চিয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় এনে শিক্ষার্থীরা বিএমডিসি কর্তৃক অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করার জন্য দাবি জানান। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ নভেম্বর ২০১৭/সাওন/মুশফিক