স্বাস্থ্য

মাথা জোড়া শিশু : শুরু হয়েছে আলাদার প্রক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনায় জন্ম নেওয়া মাথা জোড়া লাগানো দুটি মেয়ে শিশু রাবেয়া-রুকাইয়ার আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রক্ত সঞ্চালন ঠিক আছে কি না, দেখার জন্য মঙ্গলবার সকালে তাদের এনজিওগ্রাম করা হয়। হাঙ্গেরি থেকে আসা দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে এ এনজিওগ্রাম করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এনজিওগ্রাম করে দেখেছি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ঠিক আছে। বুধবারও আরেকটি পরীক্ষা করা হবে। এটা খুবই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তাতে প্রায় বছর খানেক লেগে যাবে। এর আগে রাবেয়া-রুকাইয়ার অস্ত্রোপচারের জন্য ঢামেক হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শিশু দুটির বাবা রফিকুল ইসলাম এবং মা তাসলিমা। বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার আটলঙ্কা গ্রামে। এই দম্পতির সাত বছর বয়সি আরেকটি মেয়ে শিশু আছে। রফিকুল ইসলাম উপজেলার অমৃতকুণ্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তাসলিমাকে পাবনার পিডিসি ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে নেওয়া হয়। ওই দিনই তারা আলটাসনোগ্রাফি করেন। তখন চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির মাথা বড় রয়েছে। মাথায় পানি জমে থাকতে পারে। জন্মের পর সে মানসিকভাবে অ্যাবনরমাল হতে পারে। আগেভাগেই সিজার করা ভালো। তাই ১৬ জুলাই চিকিৎসকরা সিজার করেন। সিজারের পর দেখা যায়, শিশুটির মাথা বড় নয়, মাথা জোড়া লাগানো দুটি শিশু। মাথা ছাড়া শিশু দুটির সব কিছু আলাদা। চিৎ হয়ে ঘাড় কাত করে দুজনে মাথা মিশিয়ে শোয়ার মতো, দুজনের মাথা জোড়া লাগানো।’ শিশু দুটি জন্মের পর থেকে বিএসএমএমইউতে তাদের চিকিৎসা করানো হয়। সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিশু দুটিকে ঢামেক হাসপাতালে এনে আলাদা করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/সাওন/সাইফুল