স্বাস্থ্য

প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সচিবালয় প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক  বলেছেন, ভারতের গড় আয়ু আমাদের চেয়ে অনেক কম। প্রাইমারি (প্রাথমিক) চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে। তাদের গড় আয়ু ৬৭ বছর আর আমাদের গড় আয়ু ৭২ বছর। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি  এ  কথা বলেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু রোগের চিকিৎসায় এখনও আমরা ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছি। তাদের হাসপাতালের সংখ্যা অনেক বেশি। ক্যানসার, হার্ট ও কিডনির চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারত অনেক এগিয়ে। সে কারণেই বাংলাদেশি লোক সেখানে যায়। আমাদের দেশে এ রোগের চিকিৎসায় আমরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছতে পারিনি। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আমাদের দেশে মাত্র ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি মাত্র ইনস্টিটিউট রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এখনও কমপক্ষে ২০০০ সিটের ক্যানসার হাসপাতাল দরকার। আমরা দ্রুত একটি ৫০০ সিটের একটি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি করবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের স্বাস্থ্য সেবার অবদান অনেক বড়। মানুষ সুস্থ থাকছে, এর ফলে তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে আমরা বিশ্বের কাছে দেশের মুখ উজ্জল করতে পেরেছি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। পাশের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে এর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের অবদান অনেক বড়। দেশের শিশু, কিশোর ও তরুণদের স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য তারা শারিরিকভাবে সুস্থ থেকে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সেবা এখন নিদ্রিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য নয়। এ সেবা এখন প্রত্যেক মানুষের জন্য উন্মুক্ত। ফলে মা, শিশু, গরীব, ধনীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আর কেউ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ‘এখন আর নির্দিষ্ট এলাকা বা শুধুমাত্র শহরে নয় বরং গোটা দেশের প্রত্যেক অঞ্চলেই স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। দেশের চর, ঝিল, পাহাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে। এজন্য আমরা হাসপাতাল বৃদ্ধিসহ সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’ ইতিমধ্যে আমরা ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে ৫ হাজার চিকিৎসক এক মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন হবে। আমরা আশা করছি দেশে চিকিৎকের কোনো সংকট থাকবে না বলেন প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, আমরা ৬টি বিভাগীয় শহরে ৬টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন করছি। যা এ বছরের শেষ নাগাদ সেবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ভেঙে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে বহুতল বিশিষ্ট হাসপাতাল। এর ফলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে এবং দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিতে পারবে স্বাস্থ্য সেবা।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ এপ্রিল ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ