স্বাস্থ্য

চিকুনগুনিয়া নিয়ে সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম দিবস উপলক্ষে শহীদ ডা. মিলন হলে সোমবার চিকুনগুনিয়া নিয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  জাহিদ মালেক। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। চিকুনগুনিয়া নিয়ে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট অবদান রয়েছে। এখানে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে। সেটা বাস্তবায়িত হলে দেশের মানুষকে আরো অধিকতর উন্নত সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। সরকার রোগীদের আরো উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শিগগিরই ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে। এরপর আরো ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া বর্তমানে ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আরো উন্নত চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবা প্রদান করাসহ অধিকতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ বছর বর্ষার প্রবণতা বেশি। তাই মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো.  তানভীর ইসলাম তার বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে জ্বর এবং গিঁটে ব্যথা নিয়ে যারা আসেন তাদের ৮০ ভাগই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। বাজারে প্রচলিত চিকুনগুনিয়া সনাক্তকারী আইসিটি টেস্টের  প্রথম সপ্তাহে রোগ সনাক্ত করার ক্ষমতা অত্যন্ত কম, তাই জ্বরের প্রথম সপ্তাহে কোনো রক্ত পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া সনাক্ত করা জরুরি নয়। আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে গিঁটে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই রোগে জটিলতার হার অত্যন্ত কম। রোগের উপসর্গ কাছাকাছি হওয়ায় চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি রোগীর ডেঙ্গু আছে কি না-তা জানা জরুরি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৮/সাওন/সাইফ