নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বর্তমানে মোট যক্ষ্মা রোগী ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন। এর মধ্যে শিশু ১১ হাজার ৩৫২ জন। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে এমডিআর যক্ষ্মা রোগী ১ হাজার ২৪০ জন। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং ৩৬ জন মারা য়ায়। তাই এই রোগ নির্মূলে জনসাধারণের সচেতনতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক জিন-এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা ও ব্যবহার বাড়ানো উচিত। একসময় যক্ষ্মাকে নিয়ে যে ভয় ছিল, সেই ভয় অনেকটাই কেটে গেছে, উল্লেখ করে বক্তারা যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতাল না থাকা, দক্ষ স্টাফের স্বল্পতা, চরাঞ্চলসহ দুর্গম জায়গায় সহজে চিকিৎসাসেবা দিতে না পারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। এলক্ষ্যে সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্র্যাকসহ ২৫টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অং কাই জাই মগ, ব্র্যাকের কমিউনিকেশন ডিজিজেস কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম ও সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত, আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধি ডা. সায়রা বানু প্রমুখ। উল্লেখ্য, যক্ষা একটি বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ। মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের একটি জীবানু এ রোগেত জন্য দায়ী। এ জীবানু মূলত ফুসফুসকে আক্রমণ করে। কফ, হাচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষার জীবাণু একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মার্চ ২০১৯/সাওন/রফিক