স্বাস্থ্য

বাগেরহাট হাসপাতাল রোগী শূন্য, সেবা হটলাইনে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল।

যেখানে প্রতিদিন বর্হিবিভাগেই কয়েকশ রোগী দেখা যেতো। একদম ফাঁকা সেই বর্হিবিভাগ। হাসপাতালের বেডগুলোও রোগী শূন্য পড়ে আছে।

তবে সব ধরনের রোগীর সেবা দিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সকাল দশটায় সদর হাসপাতালে ঢুকতেই দেখা মিলল এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর। ওই কর্মী স্যাভলন দিয়ে হাসপাতাল জীবানুমুক্ত করতে স্প্রে করছেন।

এ যেন এক অচেনা হাসপাতাল। ফাঁকা পড়ে আছে রোগীর ভিড়ে জমজমাট থাকা হাসপাতালের বর্হিবিভাগ। জরুরী বিভাগে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম পিপিই পরে রোগী শূন্য বসে আছেন। একশ শয্যার এই হাসপাতালের গাইনি, শিশু, মেডিসিন, অর্থপেডিক্সসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেডগুলোও রোগী শূন্য।

জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জুনায়েদ সাফার মাহমুদ বললেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে। খুব বেশি অসুস্থ না হলে কেউ হাসপাতালে আসছেন না। তারাই আসছেন যাদের বাড়িতে বসে চিকিৎসা সেবা নেয়া সম্ভব না। ভিড় এড়াতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার পরামর্শের জন্য আমরা হটলাইন চালু করেছি। হটলাইনে আমরা তাদের জরুরী সেবা দিচ্ছি। আমরা সব ধরনের রোগীদের সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।'

তবে সাধারণ রোগের জন্য হাসপাতালে  ভিড় না করে হটলাইনে সেবা নিতে জোর পরামর্শ দেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কাউকে হাসপাতালে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এজন্য সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আমরা ৫টি হটলাইন নাম্বার চালু করেছি সেখানে যোগাযোগ করলে রোগীরা সেবা পাবেন।'

 

টুটুল/টিপু