স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণ চায় এফডিএসআর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ দেশের মানুষকে ভুল বার্তা দিয়ে বারবার বিভ্রান্ত করেছেন।  তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও দায়িত্বপালনে অদক্ষতার অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবি তুলেছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টর’র সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি (এফডিএসআর)।

একইসঙ্গে মহাপরিচালক ও তার অনুসারী-অনুগামীদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবি তুলেছে চিকিৎসকদের এ সংগঠনটি।

ডিজির অপসারণ দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে বুধবার (২৪ জুন) চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে এফডিএসআর সূত্রে জানা গেছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন ও মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান মহাপরিচালক ও তার অনুগ্রহভাজনদের কর্মকাণ্ডে, অনিয়ম, লুটপাট, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির এক আখড়ায় পরিণত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রাদুর্ভাবের প্রাক্কালে নকল মানহীন এন-৯৫ মাস্ক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পাঠানোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।  শুরু থেকে মহাপরিচালক বলে এসেছেন যে, তার দপ্তর কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তত। অথচ চিকিৎসকদের শুরুতে তারা পিপিই দিতে পারেননি। শুধু তা-ই নয়, তাদের প্রস্তুতিহীনতা পদে পদে সরকারকে বিব্রত করেছে।

এফডিএসআর অভিযোগ করে, ‘আবুল কালাম আজাদ শুরুতে বলেছেন, বাংলাদেশের আর্দ্রতার কারণে কোভিড বেশি দিন স্থায়ী হবে না। তারপর বলেছেন, দিনে ৬৫ হাজার রোগী হবে। তারপর আবার বলেছেন, এই রোগ দেশে তিন বছর বা তার বেশিও থাকতে পারে।  এভাবে তিনি দেশের মানুষকে ভুল বার্তা দিয়ে বারবার বিভ্রান্ত করেছেন।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘চূড়ান্ত অনিয়ম করে তিনি ভূঁইফোড়, অভিজ্ঞতাহীন জেকেজি হেলথকেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে কোভিড রোগীর ভাইরাল স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।  জেকেজি অসাধু তৎপরতা চালিয়ে রোগীদের স্যাম্পল ফেলে দিয়ে জাল রিপোর্ট দিয়েছে ও বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছে।  তারা প্রকাশ্য দিবালোকে নিরীহ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের পকেট মেরেছে। এই মহাপরিচালক তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পত্রিকায় বলেছেন যে, জেকেজিকে সতর্ক করা হয়েছে। অথচ নিয়মানুযায়ী তাদের কাজ স্থগিত করে, তদন্ত ও মামলা করার কথা।’

চিঠিতে বিষয়গুলো তুলে ধরে মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে অপসারণ করে, তার দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে তার ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে, মহাপরিচালককে অব্যাহতি দিয়ে তার দুর্নীতির তদন্ত করারও আহ্বান জানানো হয়। ঢাকা/মামুন/জেডআর