স্বাস্থ্য

প্রত্যেক জেলায় প্লাজমা সেন্টার দরকার: জাফরুল্লাহ চৌধুরী 

গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ বিভিন্ন রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে।  রোগ ভালো হলেও কাউকে খুব দুর্বল করে দেয়।  এমন পরিস্থিতিতে প্লাজমা দেওয়ার বিষয়টি আরও অনেক প্রচার হওয়া দরকার। অধ্যাপক এম এ খানের নেতৃত্বে প্রত্যেক জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার।

শনিবার (১৫ আগস্ট) ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্যে নগর হাসপাতালে প্লাজমা সেন্টার উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। 

গণস্বাস্থ্যের প্লাজমা সেন্টারে প্রতিদিন ২৫ জন করোনামুক্ত রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্লাজমা দেওয়ার কতগুলো নিয়ম আছে।  অত্যন্ত সায়েন্টিফিক নিয়ম মেনে প্লাজমা নেব। 

হেমাটো অনকোলজিস্ট অধ্যাপক এম এ খান বলেন, প্লাজমা দুই পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়।  ওটাকে প্লাজমাফেরিসস, যা করা হয় একটা মেশিনের সাহায্যে। সেটা ব্যয়বহুল। ৩০ থেকে ৪০ লাখ একটা মেশিনের দাম। নমুনা সংগ্রহ করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে।  আরেকটা পদ্ধতি হল, করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর রক্তের নমুনা থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা।  এখানে সমস্যা হলো, এক জন থেকে যে প্লাজমা সংগ্রহ করা  হবে, তা শুধু একজনকে শুধু একবার দেওয়া যাবে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে প্লাজমার চাহিদা কমে গেছে। মানুষের আতঙ্ক কমে গেছে।  আমার মনে হয় সেপ্টেম্বরের দিকে করোনা ডিক্লাইন ফেজের দিকে আসবে, আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। 

এম এ খান বলেন, প্লাজমা থেরাপি কোন সময়ে কাকে দিতে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকে প্ল্যান করি, বয়স্ক রোগী যারা রয়েছেন, তাদেরকে যদি আমরা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি দিতে পারি, এটা হলো উত্তম।  কারণ সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন  আসার আগ পর্যন্ত এটা খুব কার্যকরি চিকিৎসা পদ্ধতি। 

গণস্বাস্থ্য হাসপাতালর আইসিউ প্রধান নাজির মোহাম্মদ, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ ও নগর হাসপাতালের প্যাথলজি  বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম মো. কোরেইশী বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিট উদ্ভাবক অনু বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অধ্যাপক ডা. শওকত আরমান, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রো বায়োলজির প্রধান অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুল হক।