স্বাস্থ্য

জহিরুলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন

মা, স্ত্রী ও ফুটফুটে দুই সন্তান নিয়ে সুখী সংসার ছিল জহিরুল হকের। কিন্তু হঠাৎ হয় ছন্দপতন। মস্তিষ্কে বাসা বাঁধে ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া। ভুলে যেতে থাকেন অনেক কিছু। চিকিৎসা করতে গিয়ে হারিয়েছেন সহায় সম্বল। 

নোয়াখালির চাটখিল উপজেলায় দেলিয়াই গ্রামে তার বাড়ি। বিকম পাস করে জীবিকার তাগিদে পাড়ি দিয়েছিলেন বাহরাইনে। সেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন জহিরুল। কিন্তু ভাগ‌্য সহায় হয়নি। স্মৃতি হারানো এমন রোগের কবলে পড়ে চাকরি হারিয়ে ফিরতে হয় দেশে।

২০১৩ সালে বাহরাইনেই প্রথম ধরা পড়ে তার অসুখ। কোনো কিছুই মনে করতে পারছিলেন না। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান জহিরুল স্মৃতি হারানো রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ রোগের নাম ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া। সেখানে চিকিৎসার পরও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বছর খানিক পর চাকরিচ‌্যুত হন। ২০১৪ সালে বাধ্য হয়ে দেশে ফেরেন। ২০১৬ সালে ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা করান। চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব। আত্মীয়, বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের দেয়া দানে আর চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

এরই মধ্যে তার বন্ধুরা জহিরুলের জন্য তহবিল সংগ্রহে  একটি গ্রুপও খুলেছেন। নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের সার্জন ডা. মনসুর আহমেদের পরামর্শে জহিরুলকে আগামী সপ্তাহে ঢাকার নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলে  জানিয়েছেন তার বন্ধু মোহাম্মদ মাছুদুল আমিন।

তিনি জানান, জহিরুলের শারীরিক অবস্থা ভয়ানক খারাপ। কাউকে চিনতে পারেন না। প্রস্রাব-পায়খানা করেন বিছানায়। চিকিৎসার জন‌্য দীর্ঘ সময় থাকতে হবে হাসপাতালে। এসব খরচ বহন তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া  ওষুধ আর পথ্য কেনার সামর্থ‌্যও নেই তার।

একদিকে অসুস্থ স্বামী, অন‌্যদিকে অসহায় দুই শিশু সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জহিরুলের স্ত্রী। চিকিৎসা ব‌্যয় মেটাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন স্ত্রী ও স্বজনরা।

জহিরুলকে সাহায্যের ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন-০১৮১৩৬৩০০৭১ নম্বরে। অথবা সরাসরি বিকাশের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। বিকাশ নম্বর (ব‌্যক্তিগত): ০১৭১১২০৬৭৫২ বা ০১৯১২৬৮৩১৬৮।