স্বাস্থ্য

জুলাইয়ের মধ্যে ৪ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা

জুলাইয়ের মধ্যেই দেশের মানুষকে করোনাভাইরাসের চার কোটি ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের ১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিনসহ মোট ৪ কোটি ভ্যাকসিন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে দেওয়া হবে এ সময়।

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।  কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সভার আয়োজন করা হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, এক মাস দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দিতে বাংলাদেশের প্রশংসা কেবল দেশেই নয়, বিদেশিরাও করেছে। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন করেছে এবং এরই মধ্যে ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছে। দেশের ১ হাজার ৭টি ভ্যাকসিন বুথে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্বের বহু দেশ এখনো হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যখাত এই ভ্যাকসিন প্রদানে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোনো রকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয়, সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা হবে। পরবর্তী ধাপে দেশের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের, বিভিন্ন বন্দরে দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন কিনতে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন হাতে চলে এলে ভ্যাকসিন প্রদানে ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে ।

সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন।