আগামীকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এবার দিবসটি উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ল্যাব ওয়ান, উত্তরা রোটারি ক্লাব ও ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন হিমোফেলিয়া। এতে নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন হিমোফেলিয়ার সভাপতি প্রফেসর, ড. মো. সালাহউদ্দিন শাহ, আলোচনায় অংশ নেবেন রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার এমএ ওয়াব, রোটারিয়ান খায়রুল আলম, অধ্যাপক ড. লিয়াকত হোসেন তপন, রোটারিয়ান মো. মতিউর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের মতে, মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম দুরারোগ্য মরণব্যাধিগুলোর মধ্যে হিমোফিলিয়া একটি বংশাণুক্রমিক রক্তক্ষরণজনিত রোগ। রক্তে জমাট বাঁধার উপাদান বা ফ্যাক্টর জন্মগতভাবে কম থাকার কারণে হিমোফিলিয়া হয়ে থাকে। এ রোগ সাধারণত পুরুষের হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ফ্যাক্টর-৮-এর ঘাটতির কারণে হিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯ এর অভাবে হিমোফেলিয়া-বি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
হিমোফেলিয়া হলে রোগীর খুব বেশি রক্তপাত হয়। মহিলাদের মাসিকের সময় অনেক দিন ধরে রক্ত ঝরা, সময়ে সময়ে নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত বের হওয়া, দাঁতের অপারেশনের পর প্রচুর রক্তপাত হওয়া এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া এসবই হিমোফিলিয়া রোগের কারণ।
সাধারণত দুই ধরনের হিমোফিলিয়া রোগী দেখা যায়, হিমোফেলিয়া-এ এবং হিমোফেলিয়া-বি।
চিকিৎসকদের মতে, ৮৫ শতাংশ রোগীর হিমোফেলিয়া-এ এবং ১৫ শতাংশ রোগীর হিমোফেলিয়া-বি হয়ে থাকে।
হিমোফেলিয়ার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমেরিকায় প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে গড়ে একজন হিমোফেলিয়া-এ আক্রান্ত।
বাংলাদেশে এ রোগের কোনো গবেষণা ও সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও চিকিৎসকদের ধারণা, দেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। সূত্র: ইন্টারনেট