স্বাস্থ্য

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস আজ

বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।  বাংলাদেশ জনমিতি স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮-এর হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি চার জনের একজন উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন।

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস আজ।  ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগের সদস্য হিসেবে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে দিবসটি পালন করে আসছে।  বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি উপলক্ষে তেমন কোন কর্মসূচি থাকছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ।  আর এই সমস্যায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রতি বছর মারা যায়।

হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।  হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং সুস্থ জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।  

এক্ষেত্রে খাদ্যদব্য থেকে ট্রান্সফ্যাট নামক বিষাক্ত কেমিক্যাল নির্মূল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি খাদ্য উপাদান। ডালডা বা বনস্পতি ঘি এবং এটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার ও বেকারি পণ্যে ট্রান্সফ্যাট থাকে। এছাড়াও ভাজা পোড়া খাবার তৈরিতে একই তেল বার বার ব্যবহার করলে ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়, যা হৃদরোগ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে খসড়া ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ অতিসত্ত্বর চূড়ান্ত এবং বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।  হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ থেকে শিল্প উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।  বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খসড়া ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা চূড়ান্তকরণে কাজ করছে।

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। খাদ্যে টান্সফ্যাট নির্মূল নিঃসন্দেহ সরকারের জন্য একটি ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। এটি একদিকে যেমন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাবে, অন্যদিকে সরকারের স্বাস্থ্য সেবা ব্যয় কমাতে ভূমিকা রাখবে।’