স্বাস্থ্য

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু, ৮ জনই কক্সবাজারের

চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। যার মধ্যে চার জন ঢাকার বাসিন্দা। বাকি আট জনই কক্সবাজার জেলার। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, রাজধানীর পর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী রয়েছে কক্সবাজারে। ফলে সেখানে মৃত্যুও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে দুই জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এসব ক্যাম্পে মানুষ গাদাগাদি করে থাকে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে মশা বেশি জন্মাচ্ছে। তাছাড়া, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতারও অভাব রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৫১ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া, এই সময়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ১৪ জন ভর্তি হয়েছেন।

এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ৩২২ জন। তাদের মধ্যে ২৪৬ জনই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৭৬ জন।

চলতি বছরে (১ জানুয়ারি থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত) সারা দেশের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮১২ জন। এরধ্যে ২ হাজার ৩৬১ জনই ঢাকার। এ বিভাগের অন্য জেলায় ২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরপরই বেশি সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী চট্টগ্রাম বিভাগে। সেখানে ৩৩৭ জন রোগীর মধ্যে ২২৮ জনই কক্সবাজার জেলার।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। করোনার মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কিছুটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে ডেঙ্গু।