স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (এসএমএ) রোগে আক্রান্তদের জীবনকে সহজ করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৩ ও ২৪ আগস্ট ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে ‘স্ট্যান্ডার্ডাইজড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাপ্রোচ ফর এসএমএ’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল এসএমএ আক্রান্তদের পুনর্বাসনে আধুনিক ও মানসম্মত পদ্ধতি প্রচলন করা।
কর্মশালায় মালয়েশিয়ার আমির থেরাপি জিম থেকে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল অংশগ্রহণ করেন। আমির থেরাপি জিমের কো ফাউন্ডার ফেজিয়া টাইবালি, সিনিয়র ফিজিওথেরাপিস্ট থাশেন্দ্রন নাভিনদ্রন ও ক্যাসান্দ্রা বিহ হুয়ান গাইক তাদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং ভিন্নধর্মী থেরাপির ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
কর্মশালাটি কিউর এসএমএ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের চাইল্ড নিউরোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ চাইল্ড নিউরোলজি সোসাইটি (বিসিএনএস) যৌথভাবে আয়োজন করে।
দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত স্নায়ুবিজ্ঞান ও পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ চাইল্ড নিউরোলজি সোসাইটির (বিসিএনএস) সভাপতি প্রফেসর ডা. মিজানুর রহমান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. কাজী গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম, পেডিয়েট্রিক নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নারায়ণ সাহা, শিশু স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. আরিফুল ইসলাম, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. খুরশিদ মাহমুদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এ. কে. আজাদ।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশে এসএমএ রোগীদের সঠিক চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে একটি সমন্বিত কর্মপদ্ধতি অত্যন্ত জরুরি। এই কর্মশালার মাধ্যমে চিকিৎসক ও থেরাপিস্টদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে একটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড রিহ্যাবিলিটেশন মডেল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ‘রোশ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্ক হিব, কিউর এসএমএ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, রোশ বাংলাদেশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত এসএমএ রোগী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।