৫৪ বছরে দেশের ওষুধশিল্পে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অর্জন করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ অব কম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। কোভিড-১৯ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ আবিষ্কারের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এই বিশেষ সুবিধা অর্জন করেছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গ্লোব বায়োটেকের কার্যালয়ে এ অর্জনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্লোব বায়োটেকের গবেষক ড. কাকন নাগ বলেন, “এমআরএনএ ভিত্তিক একমাত্র সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স।”
“১৬৫টি দেশ টিআরআইপিএস এর আইন মানতে বাধ্য। আগামী বছর নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ টিআরআইপিএস সুবিধা পাবে। বঙ্গভ্যাক্সের ইউএস প্যাটেন্ট একটি দরজা খুলে দিয়েছে। এখন আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য ওষুধও তৈরি করতে পারব এবং তা বাধাহীনভাবে অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারব।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্লোব বায়োটেক ২০১৫ সালে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চরক্তচাপ ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার তৈরি। ২০২০ সালে যখন বিশ্বজুড়ে মহামারির প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ উদ্ভাবনে গবেষণা শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, “এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এমআরএনএ ছাড়াও ডিএনএ, সাবইউনিট/প্রোটিন, ইনঅ্যাকটিভেটেড ভাইরাস, রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস ভ্যাকসিনসহ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ, ব্লাড ডিসঅর্ডারের মতো দুরারোগ্য রোগের ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।
এজন্য ওষুধ শিল্পে নেতাদের এবং সরকারের সহায়তা দরকার।”