স্বাস্থ্য

নিউমোনিয়া পোলিও থেকে রক্ষায় দুটি নতুন টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন দুটি জীবন রক্ষাকারী টিকা প্রবর্তন করা হলো। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে বছরে ৩০ লাখের বেশি শিশু পোলিও ও নিউমোনিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

 

আগামিকাল শনিবার ঢাকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক নিউমকোক্যাল টিকা ও পোলিও ইনজেকশনের উদ্বোধন করবেন।

 

বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা দিয়ে আসছে দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনস অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশন (গ্যাভি), ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল পোলিও এরাডিকেশন ইনিশিয়েটিভ (জিপিইআই)। শুক্রবার তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে নিউমোনিয়ার টিকা ও পোলিও টিকার ইনজেকশন চালু হলে বাংলাদেশের ৩০ লাখ শিশু এর সুফল পাবে।

 

২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে পোলিও নির্মূল পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এ টিকার ইনজেকশন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে গতবছরই  পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এই অবস্থা ধরে রাখার জন্য টিকাদান কর্মসূচিতে পোলিও টিকা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

বাংলাদেশে এতোদিন পোলিওর মুখে খাওয়ানোর টিকা (ওপিভি) ব্যবহার করা হলেও আন্তর্জাতিকভাবে এ টিকার ইনজেকশন (আইপিভি) চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।  পোলিও টিকা মুখে খাওয়ানো হলে মাঝে মধ্যে শিশুর এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু ইনজেকশন আকারে এ টিকা দেওয়া হলে সেই ঝুঁকি থাকে না, যদিও এর খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।

 

এ প্রসঙ্গে গ্যাভির প্রধান নির্বাহী ডা. সেথ বার্কলে বলেন, বাংলাদেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া।  এ রোগের টিকা চালু হলে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বিগবেডার বলেন, নিউমোনিয়ার টিকা ও পোলিওর ইনজেকশন চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের টিকা দান কর্মসূচি সঠিক পথেই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে পিসিভি ও আইপিভি’র সংযোজন, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর মৃত্যু ও রোগ-হ্রাসে বড় ধরনের সুফল বয়ে আনবে।

 

বিগবেডার বলেন, সরকার এবং অন্যান্য অংশীদারদের প্রতিশ্রুতি ও সংকল্প অনুসারে ইউনিসেফ নিশ্চিত যে, এই বিরাট প্রচেষ্টা শিশুদের জন্য সুষম সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৫/হাসান/নওশের/কমল কর্মকার