আন্তর্জাতিক

ফিরে দেখা : সেই মুম্বাই ব্লাস্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১২ মার্চ, ১৯৯৩- ১৩টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাই। এই বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন ৭১৩ জন। এর আগের পটচিত্রে তাকালে দেখা যায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে দাঙ্গা-হানাহানিতে ৯০০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ১০ মার্চ ইয়াকুব ছাড়া মেমন পরিবারের বাকি সদস্যরা দুবাই চলে যান। ১২ মার্চ ঘটে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা। ২২ বছর পর অবশেষে ফাঁসি হলো অন্যতম অভিযুক্ত ইয়াকুব মেমনের।

এবার দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে-

১৯ নভেম্বর, ১৯৯৩ : তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল সি বি আই-এর হাতে।

৫ আগস্ট, ১৯৯৪ : ইয়াকুব মেমন গ্রেফতার। ইয়াকুবের দাবি, সে আত্মসমর্পণ করেছে।

১০ এপ্রিল, ১৯৯৫ : ২৬ জন অভিযুক্তকে রেহাই টাডা আদালতের। বাকিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন।

৩০ জুন, ১৯৯৫ : ট্রায়াল শুরু টাডা আদালতে।

২৯ মার্চ, ১৯৯৬ : টাডা আদালতের বিচারক হন পিডি কোড়ে।

২৮ জুলাই, ১৯৯৯ : সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ইয়াকুবের।

৯ মার্চ-জুলাই ১৮, ২০০১ : অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড।

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ : দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইজাজ পাঠানের আদালতে হাজিরা।

২ ডিসেম্বর, ২০০৬ : টাডা আদালতে ১০০জন দোষী সাব্যস্ত।

২৭ জুলাই, ২০০৭ : ইয়াকুব-সহ ১২ জনকে ফাঁসির সাজা।

১ নভেম্বর, ২০১১ : সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু।

২১ মার্চ, ২০১৩ : ইয়াকুবের মৃত্যুদন্ড বহাল। ১০ জনের মৃত্যুদন্ড সাজা বদলে যাবজ্জীবন। ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল।

৩০ জুলাই, ২০১৩ : সুপ্রিম কোর্টে ইয়াকুবের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ।

১৪ আগস্ট, ২০১৩ : নির্ধারিত মৃত্যুদন্ড স্থগিত।

১১ এপ্রিল, ২০১৪ : ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

৯ এপ্রিল, ২০১৫ : ইয়াকুবের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের। বহাল ফাঁসি।

২১ জুলাই, ২০১৫  : মেমনের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ।

২৩ জুলাই, ২০১৫ : মৃত্যুদন্ড স্থগিতের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মেমন।

২৮ জুলাই, ২০১৫ : ইয়াকুবের আবেদন নিয়ে বিভক্ত বিচারকরা। প্রধান বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন।

২৯ এপ্রিল, ২০১৫ : ৩০ জুলাই ফাঁসির দিন ধার্য।

২১ জুলাই, ২০১৫ : ইয়াকুবের অন্তিম আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের।বুধবার ফের একবার সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল ইয়াকুব মেমনের আর্জি। জানিয়ে দিল, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতো বৃহস্পতিবার সকালেই ফাঁসি হবে মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণকান্ডের অন্যতম মূল চক্রী, টাইগার মেমনের ভাইয়ের। সে অনুযায়ী ফাঁসিও কার্যকর হলো।

 

তথ্যসূত্র : এবিপি আনন্দ ও আজকাল

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৫/টিপু