আন্তর্জাতিক

সমকামিতার পক্ষে ভারতের দুই শীর্ষ নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের শীর্ষ দুই নেতা দেশটিতে পুরুষ সমকামিতার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই দুই নেতা হলেন অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি এবং তার পূর্বসূরি কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তারা দুজনে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩৭৭ নম্বর ধারার ওপরে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নেওয়া পুরুষ সমকামিতাবিরোধী অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছেন।

 

টাইমস লিটফেস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরুণ জেটলি বলেন, সারা বিশ্বে পুরুষ সমকামিতার অধিকার যেভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে পুরুষ সমকামিতার ওপর পেনাল কোডের ৩৭৭ নম্বর ধারায় যে আদেশ দিয়েছেন, তা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

 

তিনি বলেন, ‘যখন সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ বিকল্প যৌনাচার পছন্দ করছে, তখন আমাদের দেশে একই কাজ করার জন্য কাউকে জেলে পাঠানো অন্যায়। এ বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, সেটিই বেশি গ্রহণযোগ্য।’

 

অরুণ জেটলিই ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রথম নেতা, যিনি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌনাচারকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে না দেখার পক্ষে অবস্থান নিলেন। যদিও জেটলির মতামত একান্তই তার ব্যক্তিগত, ভারতের ডানপন্থি ধর্মান্ধরা এটিকে ‘বাঁকাভাবে’ নিতে পারেন।

 

অরুণ জেটলির কিছুক্ষণ পরই এ বিষয়ে কথা বলেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের সঙ্গে। তিনিও এ বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেন।

 

পি চিদাম্বরম বলেন, পুরুষ সমকামিতা অপরাধ নয় বলে দিল্লি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, সেটি খুবই চমৎকার ছিল। সুপ্রিম কোর্টের উচিত ওই রায় বহাল রাখা।

 

২০০৯ সালে দিল্লির হাইকোর্ট পারস্পরিক সম্মতিতে সমলিঙ্গের কারো মধ্যে যৌন সম্পর্ককে বৈধ বলে আদেশ দেন এবং এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩৭৭ ধারা বাতিল করে কাউকে হেনস্তা না করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। তবে এর বিপরীতে দেশটির ধর্মীয় গোষ্ঠী সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ৩৭৭ ধারা বলবৎ রাখেন।

 

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ নভেম্বর ২০১৫/সাইফুল/এএন