আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অপরাধীরা যখন অপরাধ করে, কত কৌশলই না তার খুঁজে বের করে। পরিকল্পিত ঘটনা যারা ঘটায়, তারা কতটা হিসাব-নিকাশ করে ঘটায়- তার জ্বলন্ত উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ জেলার এই ঘটনা। যৌতুকের জন্য বউকে পেটাতে সে বেছে নিয়েছিল এক ব্যতিক্রম কৌশল। যখনই সে বউকে মারধর করত, জোরে হিন্দি গান চালিয়ে দিত।
বউকে নির্যাতনের শব্দ যাতে বাইরে না যায়, সে জন্য জোরে হিন্দি গান চালিয়ে দেওয়া। কারণ, জেলার ধূপগুড়ি শহরের একটি কলোনিতে ছিল তাদের বাস। তাই আশপাশের বাসিন্দাদের কানকে ফাঁকি দিতেই সে বেছে নেয় এই কৌশল।
বুধবারও ওই বাসায় জোরে বাজছিল হিন্দি গান, অন্যদিকে লাঠিবাঁশ দিয়েই মারধর চলছিল অন্তঃসত্ত্বা বধূটির ওপর। আর সে সময়ই বাড়ির পাশের কল থেকে পানি আনতে যায় কয়েকজন পড়শি। বধূর আর্তনাদের শব্দ পেয়ে তারা ঘরে ঢুকে এই অকাণ্ড দেখতে পান। মেঝেতে পড়ে বধূটি কাতরাচ্ছিল। শেষে পড়শিরাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ।
বুধবারই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছেন স্বামী ও শাশুড়ি। তাদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর দেড়েক আগে এদের বিয়ে হয়। বিয়েতে অলংকার এবং নগদ টাকা পণ দিয়েছিলেন বধূর বাবা। বিয়ের পর থেকেই আরো পণ দাবি করে স্বামী-শাশুড়ি মিলেই বধূটিকে মারধর করতেন।
হাসপাতালে বধূটি জানান, এর আগেও একবার তার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছিল। ওই বধূর মা বলেন, ‘মেয়ে সব সময় তার ওপর অত্যাচারের কথা জানাত। তিন মাসের গর্ভবতী অবস্থায় ওকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে। ওদের কড়া শাস্তি চাই।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জানুয়ারি ২০১৬/টিপু/এএন