আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার শরণার্থীদের তুরস্কে প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্তে আটকে পড়া প্রায় এক লাখ সিরীয় শরণার্থীকে তুরস্কে প্রবেশ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে তুরস্ক বলছে, শরণার্থীদের সীমান্তের ওপারে অর্থাৎ সিরিয়ার অভ্যন্তরে খাদ্য, পানীয় ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই তাদের তুরস্ক সীমান্তে প্রবেশের কোনো প্রয়োজন নেই। রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের উদ্যোগে সিরিয়ার বিরোধীদের সঙ্গে সরকারি দলের আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এর পরই বিরোধীদের ওপর জোরেশোরে অভিযানে নামে সরকারি বাহিনী। এ ঘটনার পর আলেপ্পো প্রদেশ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার শরণার্থী তুরস্ক সীমান্তে চলে এসেছে। এর আগে যেসব শরণার্থী সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে এসেছে, তাদেরও সীমান্তের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি তুরস্ক। এই শরণার্থীদের বোঝা সামলাতে তুরস্ক এখনই হিমশিম খাচ্ছে, এর মধ্যে নতুন করে আসা শরণার্থীদের স্রোত দেশটির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

 

আর্মস্টারডামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সভা শেষে ইইউ পররাষ্ট্রনীতির প্রধান ফেদেরিকা মেগেরিনি বলেছেন, তুরস্ক যদি শরণার্থীদের আশ্রয় না দেয়, আন্তর্জাতিক আইনে সেটা হবে ভুল সিদ্ধান্ত।

 

ফেদেরিকা মেগেরিনি আরো বলেন, ‘এটা একটা নৈতিক দায়িত্ব, এটা কোনো আইনি দায়িত্ব না হয়ে থাকলেও প্রয়োজন অনুযায়ী শরণার্থীদের আন্তর্জাতিকভাবে সুরক্ষা দেওয়া উচিত। আর সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের যে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন, তা তো প্রশ্নাতীত বিষয়। তুরস্ক যেন শরণার্থীদের ঠিকভাবে থাকতে দিতে পারে সে লক্ষ্যেই আমরা তাদের সমর্থন দিচ্ছি।’

 

তবে তুরস্কের সীমান্তবর্তী প্রদেশ কিলিসের গভর্নর সুলেমান তপসিজ বলেছেন, এই শরণার্থীদের জন্য তুরস্ক তাদের সীমান্ত খুলবে না।

 

সুলেমান তপসিজ আরো বলেন, ‘আমাদের সীমান্তবর্তী ৮টি ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে নতুন শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের আছে। তবে আমরা মনে করছি না এই মুহূর্তে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তাদের জন্য আশ্রয় এবং পর্যাপ্ত খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। তাই তাদের তুরস্কের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শাহেদ/এএন