আন্তর্জাতিক

‘যৌন সুবিধা চাওয়া মানে ঘুষ চাওয়া’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কর্মস্থলে কোনো নারী বা পুরুষের কাছ থেকে যৌন সুবিধা চাওয়াকে ঘুষ চাওয়ার মতো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ ধরণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফৌজদারি আইনে শাস্তি দেওয়া যাবে। ভারতের রাজ্যসভায় এ সংক্রান্ত একটি বিল পাঠিয়েছে দেশটির আইন বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটি।

 

ভারতে বর্তমানে প্রচলিত দুর্নীতিবিরোধী আইনটি ১৯৮৮ সালের। এই আইনের সংশোধনী বিলে সম্প্রতি রাজ্যসভার আইন বিষয়ক কমিটি আইন কমিশনের দেওয়া নতুন একটি প্রস্তাব সংযুক্ত করে। একই সঙ্গে বিলটিতে ‘অযাচিত সুবিধা’র আওতায় একটি প্রস্তাব সংযুক্ত করে। এতে বলা হয়েছে, ‘বৈধ পারিশ্রমিক ছাড়া  যে কোনো ধরণের পারিতোষিক, যার মধ্যে যৌন সুবিধাও অর্ন্তভূক্ত তাকে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ঘুষ গ্রহণ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

 

এর আগে বেসরকারি খাতে করপোরেট ও তাদের নির্বাহীদের ঘুষ গ্রহণের বিষয়টিও দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছিল। এ ধরণের অপরাধের জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঘুষদাতাদের জন্যও শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৬/শাহেদ